দুর্গাপূজা ঘিরে কুমিল্লায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা : পুলিশ সুপার

উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। সে লক্ষ্যে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ লাইন্স শহীদ আরআই এ.বি.এম আবদুল হালিম মিলানায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার নজির আহমেদ খান।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা অতীতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চান না।
পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক শ্যামল কুমার সাহা বলেন, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সাথে পূজা উদযাপন পরিষদের পৃথক দুটি সভা হয়েছে। আমরা এখনো পর্যন্ত তাদের ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি মণ্ডপে নিরাপত্তায় স্বেচ্ছাসেবকরা থাকবে। এছাড়া প্রতিটি মণ্ডপকে সিসি ক্যামেরার আওতায় রাখা হবে। আশা করছি প্রশাসন যে আশ্বাস দিয়েছে সে অনুযায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন থাকবে।
পুলিশ সুপার বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলা পুলিশ তিনটা অংশে কাজ করবে। পূজার পূর্বে, পূজা চলাকালীন ও বিসর্জনের সময়। সর্বদা ৯৫০ জন পুলিশ সদস্য ছোট ছোট টিম করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপে ফিক্সড পুলিশ স্ট্যান্ড থাকবে। এছাড়াও ডিবির কুইক রেসপন্স টিম থাকবে।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা টিম কাজ করবে। সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরের জন্য বিশেষ টিম থাকবে, যাতে কেউ গুজব ও অপপ্রচার ছড়াতে না পারে। প্রত্যন্ত এলাকায় মণ্ডপে পৌঁছাতে নৌযোগে পুলিশের টিম কাজ করবে।
পুলিশ সুপার বলেন, পূজা কমিটির সাথে আমাদের মিটিং হয়েছে। আমরা তাদের কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছি। প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর সার্ভিস রাখার জন্যও বলা হয়েছে।
পূজা মণ্ডপের আশেপাশে কোনপ্রকার মেলা না বসানোর জন্য বলা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও কাজ করবে। এছাড়াও মণ্ডপের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাসেবী টিম রাখার জন্য বলা হয়েছে। যানজট নিরসনের জন্য পূজা চলাকালীন সার্বক্ষণিক ট্রাফিক পুলিশ কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
এবছর কুমিল্লায় জেলার ১৭টি উপজেলায় মোট ৮১৮টি পূজামণ্ডপ স্থাপন হবে। এর মধ্যে ৭৬৫টি প্রতিমা বিসর্জন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল ইসলাম ও পঙ্কজ বড়ুয়াসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।