সালাম মুর্শেদীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ২৯ সেপ্টেম্বর

গুলশান-২ আবাসিক এলাকার ১০৪ নম্বর সড়কের ২৭/বি নম্বরে ২৭ কাঠা সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আব্দুস সালাম মুর্শেদীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
সস্প্রতি ঢাকার বিশেষ জজ ৯ নং আদালতের বিচারক কবির হোসেন প্রামানিক এই দিন ধার্য করেন।
বিষয়টি আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠু এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত ৩০ জুলাই আদালতে অভিযোগ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ওই দিন কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির না করায় বিচারক অভিযোগ গঠনের জন্য ২৯ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। এছাড়া এ মামলায় সাবেক শাখা সহকারী মো. মাহবুবুল হককে জামিন দিয়েছেন আদালত।
বেঞ্চ সহকারী বলেন, এ মামলায় জামিন পাওয়া অন্যরা হলেন-প্রকৌশলী আজিজুল হক, মো. হাবিব উল্লাহ, আজহারুল ইসলাম ও ইফফাত।
এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
মামলার অভিযোগপত্র ভুক্ত ১৩ আসামি হলেন- রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান হুমায়ুন খাদেম ও প্রকৌশলী এম আজিজুল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট) লে. কর্নেল (অব.) এম নুরুল হক, সাবেক পরিচালক আবদুর রহমান ভূঁঞা, সাবেক উপপরিচালক (এস্টেট) মো. আজহারুল ইসলাম ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক মো. হাবিব উল্লাহ।
এছাড়াও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সহকারী সচিব আবদুস সোবহান, সাবেক শাখা সহকারী মো. মাহবুবুল হক এবং কক্সবাজারের রামুর বাসিন্দা মীর মোহাম্মদ হাসান ও তার ভাই মীর মো. নুরুল আফছারকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে নতুন করে সালাম মুর্শেদীসহ জমির দখলদার হিসেবে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। আর অভিযোগপত্রে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে রাজউকের সহকারী পরিচালক (নিরীক্ষা ও বাজেট) শাহ মো. সদরুল আলমকে। আওয়ামী সরকারের পতনের পর হত্যা মামলায় গত ১ অক্টোবর সালাম মুর্শেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ও সরকারি কর্মচারী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং অসৎ উদ্দেশ্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত গেজেটে খ তালিকাভুক্ত গুলশান আবাসিক এলাকার সিইএন (ডি) ২৭নং, হোল্ডিং নং-২৯, রোড নং-১০৪ প্লটটি পরিত্যক্ত ২৭ কাঠা সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও অবমুক্তকরণ ছাড়াই জাল জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা রেকর্ডপত্র তৈরি করেন। যা পরে হস্তান্তর অনুমতি ও নামজারি অনুমোদন করার মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের সুযোগ তৈরি করে।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।