রংপুর অঞ্চলে পাটের বাম্পার ফলন, ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা

রংপুর কৃষি অঞ্চলের পাঁচ জেলায় এ বছর পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে মোট উৎপাদিত হয়েছে ছয় লাখ ৬০ হাজার ৯২১ বেল পাট।
পাটের ভালো ফলন ও দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। স্থানীয় বাজারে জাত ও মানভেদে প্রতি মণ (৪০ কেজি) পাট তিন হাজার ৮০০ টাকা থেকে চার হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সদ্য শেষ হওয়া খরিফ-১ মৌসুমে রংপুর অঞ্চলের ৫১ হাজার ৬৬৯ হেক্টর জমি থেকে সাত লাখ ৯ হাজার ৭৯৯ বেল পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে মৌসুম শেষে দেখা গেছে, কৃষকরা ৪৮ হাজার ৮৫৭ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করেছেন, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দুই হাজার ৮১২ হেক্টর কম।
রংপুরে ৯ হাজার ৪৫০ হেক্টর, গাইবান্ধায় ১৩ হাজার ৮২২ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ১৬ হাজার ৫০ হেক্টর, লালমনিরহাটে তিন হাজার ৯১৫ হেক্টর ও নীলফামারীতে পাঁচ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে।
পাট চাষি মনসুর আলী, আফতাব হোসেন, মাহবুবুল ইসলাম ও মানিক মিয়া জানান, তারা এ বছর পাটের বাম্পার ফলন পেয়েছেন। প্রতি মণ পাট মানভেদে তিন হাজার ৮০০ থেকে চার হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন তারা।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে হেক্টরপ্রতি গড়ে ১৩ দশমিক ৬৭ বেল পাট উৎপাদন হয়েছে। উন্নত জাত ব্যবহারের কারণে উৎপাদন বেড়েছে। তবে অন্যান্য ফসলের আবাদ বাড়ায় কিছু জমিতে পাটের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।
পাট চাষে কৃষকদের উৎসাহ দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট বীজ, সার, প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বুড়িরহাট হর্টিকালচার সেন্টারের উপ-পরিচালক ড. মো. আবু সায়েম বলেন, সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে, কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। কম বৃষ্টিপাতের কারণে বেশিরভাগ কৃষক রিবন রেটিং পদ্ধতিতে আঁশ সংগ্রহ করেছেন।