এবার জাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অমর্ত্য রায় এ রিট আবেদন করেন। চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানির কথা রয়েছে।
এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে প্রার্থিতা ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহালের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন মো. জুলিয়াস সিজার তালুকদার। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় নাম ও ব্যালট নম্বর পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত ডাকসু নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে। এর আগে গত ২৮ আগস্ট ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা বৈধতা নিয়ে রিট করা হয়েছিল।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন পদে ১৭৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছেন, যার মধ্যে ১০ জন সহ-সভাপতি (ভিপি) ও ৯ জন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী রয়েছেন।
চূড়ান্তপ্রার্থী তালিকায় দেখা যায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে ৯ জন, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সম্পাদক পদে ৬ জন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৮ জন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ৮ জন, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ৮ জন, নাট্য সম্পাদক পদে ৫ জন এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এছাড়া সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী ও পুরুষ) পদে ৬ জন করে, তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক পদে ৭ জন, সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক পদে ৮ জন, সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক (নারী ও পুরুষ) পদে ৭ জন, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা সম্পাদক পদে ৭ জন এবং পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য চূড়ান্ত হয়েছেন।
ইতোমধ্যে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ৩টি নির্বাহী সদস্য পদের জন্য ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য ৩টি নির্বাহী সদস্য পদের জন্য ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এ নির্বাচনে মোট ৪৬ জন নারী প্রার্থী বিভিন্ন পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যার মধ্যে জিএস পদের জন্য দুই প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচনী তফসিল অনুসারে, ২৯ আগস্ট থেকে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচারণা চলবে। এরপর ভোটগ্রহণ হবে ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।