ডিবি পরিচয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার

ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গতকাল বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শাহবাগ থানা।
গ্রেপ্তারেরা হলেন-মো. দ্বীন ইসলাম ওরফে কাউছার আহমেদ (৩৫), মো. কামাল হাওলাদার (৩৫), আব্দুর রহমান হাওলাদার (৩৭), মো. মেহেদী হাসান ওরফে হাসান (৩৮), মো. বাবুল হাওলাদার (৩৮), মো. রমিজ তালুকদার (৩৫) ও জান্নাতুল ফেরদৌস (২২)।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তালেবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারের সময় তাদের হেফাজত থেকে একটি মাইক্রোবাস, দুটি ডিবি জ্যাকেট, দুটি ওয়াকিটকি, একটি ভুয়া পুলিশ আইডি কার্ড, দুটি হ্যান্ডকাফ, দুটি খেলনা পিস্তল, দুটি পকেট রাউটার, ছয়টি অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন, ছয়টি বাটন মোবাইল, এক্সপেন্ডেবল লাঠি ও লেজার লাইট উদ্ধার করা হয়।
তালেবুর রহমান আরও বলেন, বুধবার রাত আনুমানিক ৯টা ৫ মিনিটের দিকে শাহবাগ থানাধীন গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজারের দক্ষিণ পাশে লেগুনা স্ট্যান্ডের সামনে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শাহবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদল রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের দক্ষিণ পাশে লেগুনা স্ট্যান্ডের সামনে ডাকাতি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে শাহবাগ থানার একটি টিম সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৪--৫ জন ডাকাত দলের সদস্য কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ও পলাতকদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজধানীর তাঁতিবাজার এলাকায় আসা স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের ও ব্যাংক থেকে বড় অংকের টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তিদের টার্গেট করতো। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ডাকাতি করতো।
রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, গ্রেপ্তার মো. দ্বীন ইসলাম ওরফে কাউছার আহমেদের নামে ১০টি, আব্দুর রহমান হাওলাদারের নামে তিনটি, মো. মেহেদী হাসান ওরফে হাসানের নামে চারটি, মো. বাবুল হাওলাদারের নামে দুটি এবং মো. রমিজ তালুকদারের নামে চারটি ডাকাতি মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।