আজ বিশ্বের কোনো শহরই ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে না

প্রতিদিন বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার লাইভ র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে থাকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিইএয়ার। তবে আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এই তালিকায় চমকপ্রদ একটি বিষয় লক্ষ করা গেছে। আজ বিশ্বের কোনো শহরই ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে না। বিশ্বের মাত্র চারটি শহরের বাতাস আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’। বাকি শহরগুলোর বাতাসের মান ‘মাঝারি’ থেকে ‘ভালো’ পর্যায়ে রয়েছে।
আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ১৩৭ স্কোর নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। ১২৮ ও ১১১ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল সৌদি আরবের রিয়াদ ও দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ।
আজ চীনের রাজধানী বেইজিং উঠে এসেছে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার চতুর্থ স্থানে, একিউআই স্কোর ১০২। এই চারটি শহরের স্কোরই বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়।
মোট ১২৬টি শহরের বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আইকিউএয়ারের তথ্যমতে, আজ বিশ্বের কোনো শহরের বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে নেই।
এ সময় বিশ্বের সমচেয়ে বিশুদ্ধ বাতাসের শহর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল। শহরটির একিউআই স্কোর মাত্র ১১। রোববার (৩১ আগস্ট) এক ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে দেশটির পূর্বাঞ্চলে। এর মধ্যে বাতাসের মানে এই বিশুদ্ধতা স্বস্তির খবর হলেও আফগানদের কাছে এই মুহূর্তে তা গুরুত্ব হারিয়েছে। কারণ স্বজনদের হারিয়ে পুরো দেশজুড়ে চলছে হাহাকার।
এদিকে, একই সময়ে ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে। ৬০ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় আজ ৩৯তম স্থানে ছিল ঢাকা।
গতকাল এই সময়ে ৬৩ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৩৫তম স্থানে অবস্থান করছিল শহরটি। সে তুলনায় আজ ঢাকার বাতাসের মানে সামান্য উন্নতি হয়েছে।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।