চবিতে সংঘর্ষে পরিস্থিতি থমথমে, পুরুষশূন্য জোবরা গ্রাম
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় আতঙ্কে পুরুষশূন্য অবস্থায় আছে গোটা জোবরা গ্রাম। হামলাকারীদের শনাক্ত ও আটকে অভিযানে নেমেছে যৌথবাহিনী। বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় আজ রাত ১২টা পর্যন্ত জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। তদন্ত কমিটি গঠনসহ আজও স্থগিত রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা।
তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর শামীম উদ্দীন খান জানান, সংঘর্ষে আহত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিনকে এই কমিটির প্রধান করে ২১ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটিতে সিন্ডিকেট সদস্য, সাবেক ভিপি ও স্থানীয় বিএনপি নেতা এস এম ফজলুল হকসহ অন্যান্য ছাত্র প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে।
প্রফেসর শামীম উদ্দীন খান বলেন, ‘বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার নিষ্ক্রিয় থাকায় ছাত্ররা এবং এলাকাবাসী উত্তেজিত হওয়ার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। পরে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের সহায়তায় রোববার সন্ধ্যার মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।’
প্রসঙ্গত, ভাড়া বাসার দারোয়ান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এক ছাত্রীকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত সোয়া ১২টা থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় স্থানীয়দের হামলায় সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ, সাংবাদিকসহ অন্তত শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাদের পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মুমিন ১৪৪ ধারা জারি করেন। এটি আজ সোমবার দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। গতকাল রোববার বিকেল ৪টার দিকে ক্যাম্পাসে যৌথবাহিনী মোতায়েন করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।