বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশ-সাংবাদিকসহ আহত ৫

গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিকের অপসারণের দাবিতে সাদুল্লাপুরে বিএনপির একাংশ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। এ সময় ডা. সাদিকপন্থী নেতাকর্মীরা লাঠি নিয়ে হামলা চালালে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাংবাদিক ও পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হন।
রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সাদুল্লাপুর শহরে এ ঘটনা ঘটে। এতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি মোটরসাইকেল ও উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নে কাউন্সিল ছাড়াই ‘পকেট কমিটি’ গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছেন ডা. মইনুল হাসান সাদিক। আওয়ামী ফ্যাসিবাদ দোসরদের পুনর্বাসনের পাঁয়তারা করা হচ্ছে বলেও তারা অভিযোগ করেন। এর প্রতিবাদে অপসারণ দাবিতে মিছিল শেষে সমাবেশ করা হয়।
বিক্ষোভ চলাকালে জেলা সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক, উপজেলা আহ্বায়ক ছামছুল হাসান ছামছুল ও সদস্য সচিব ছালাম মিয়ার সমর্থিত নেতাকর্মীরা শাহিন আল পারভেজের নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। এতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় সাংবাদিক শাকিল মিয়া ও পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এক পর্যায়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ছামছুল হাসান ছামছুল ও সদস্য সচিব আব্দুস ছালাম মিয়া কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাদুল্লাপুর শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।