নির্বাচনে ছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগসহ ৯ প্রস্তাব এবি পার্টির

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনি আচরণবিধি মানাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগসহ ৯ দফা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)।
বুধবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সিইসির সঙ্গে বৈঠকে এ বি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ সিনিয়র নেতারা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে মজিবুর রহমান মঞ্জু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সিইসিকে বলেছি, আপনারা যদি ট্রেডিশনাল (গতানুগতিক) ইলেকশন করার চিন্তা করেন, তাহলে আপনারা ১৪ শত মানুষের (শহীদের) জীবন এবং হাজার হাজার মানুষের রক্তের জন্য দায়ী থাকবেন। আপনাদের একটি রেভ্যুলেশনারি নির্বাচন করার প্ল্যান করতে হবে। নতুন ধাঁচের নির্বাচনের চিন্তা করতে হবে। ট্রেডিশনাল জায়গায় যাবেন না, নতুন করে বিষয়গুলোকে ভাবেন।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা টেকনিক্যালি কীভাবে নির্বাচন ম্যানুপুলেট হয়, তা একদম রুট লেভেলে সে বিষয়গুলো উনাদের কাছে তুলে ধরেছি। ইসিকে বলেছি, আপনারা যাতে ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সরদার না হন।’
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘সিইসির বৈঠকে আমাদের ৯ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি। এবি পার্টি আসন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাচনি আচরণবিধি মানা ও রক্ষায় ছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করেছে।’
এবি পার্টির চেয়ারম্যান জানান, পার্টির উপস্থাপিত ৯ দফায় দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদের উচ্চকক্ষ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি অনুসরণ করা না গেলে, উচ্চকক্ষের ব্যবস্থা না রাখা। সেক্ষেত্রে নিম্নকক্ষে ন্যূনতম ১০০ আসনে ভোটের সংখ্যানুপাতিক পিআর ব্যবস্থা প্রণয়ন করা। প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রদানের অধিকার নিশ্চিত ও দ্বৈত নাগরিকদের জাতীয় ও স্থানীয় সকল নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা।
ভোটকেন্দ্রগুলোকে প্রার্থীদের প্রভাবমুক্ত রাখতে ও ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ভোট কেন্দ্রের বর্তমান সংখ্যা হ্রাস এবং বড় মাঠসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, স্টেডিয়াম, খেলার মাঠ ইত্যাদি স্থানগুলোতে ভোটকেন্দ্র স্থাপন। মডেল নির্বাচনি ক্যাম্পেইন গাইডলাইন প্রণয়ন, নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে প্রার্থীদের মধ্যে সরাসরি বিতর্কের ব্যবস্থা রাখা।
নির্বাচন কমিশনকে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে তরুণ ভোটারদের জন্য বিশেষ প্রচারাভিযান এবং শিক্ষামূলক প্রোগ্রামের আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে।