পানির নিচে ইলিশা-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা লঞ্চঘাটের গ্যাংওয়ে

অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ভোলার ইলিশা-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা লঞ্চঘাটের গ্যাংওয়ে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। এই পথে নিয়মিত যাতায়াতকারীদের জন্য তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় জেলার শহরতলীর ইলিশা লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে পল্টুনে ওঠার রাস্তা ও সিঁড়িসহ গ্যাংওয়ে প্রায় ২ ফুট পানির নিচে ডুবে রয়েছে। ফলে ঢাকা-ভোলা ও ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের যাত্রীরা ব্যাগ লাগেজ ও শিশু সন্তান নিয়ে জুতা খুলে হাঁটু সমান পানিতে ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করছেন। এতে অসুস্থ রোগী, বৃদ্ধ ও শিশুদের জন্য চরম ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
লক্ষ্মীপুরগামী লঞ্চযাত্রী আমেনা, সাহিদা বেগম, রাকিবুল ও আনোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, নদী ভাঙনের কারণে ঘাটের বারবার স্থান পরিবর্তন হচ্ছে। তাছাড়া অমাবস্যা-পূর্ণিমার জোয়ার ও ঝড়বৃষ্টিতে এমন ঘটনা ঘটলেও যাত্রী নিরাপত্তায় কোনো উন্নয়ন হয়নি।
লঞ্চযাত্রী আবুল কালাম বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে প্রায়ই ঢাকা যেতে হয়। ইজারাদাররা টাকা নিলেও ফিটনেসবিহীন লঞ্চ ও স্টিল বডির ট্রলার অবাধে চলছে, ফলে দুর্ভোগ কাটছে না।
ঘাট ইজারাদার মো. আল-আমীন হাওলাদার জানান, বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএকে জানানো হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, সামনে কিছু কাজের টেন্ডার হবে। আপাতত বিকল্প সিঁড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং শিগগিরই মেরামত শুরু হবে।
ভোলার বিআইডব্লিউটিএর বন্দর কর্মকর্তা মো. রিয়াদ হোসেন বলেন, এটি মূলত একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সাধারণত এমন হয় না, তবে হঠাৎ পানি বাড়লে দুই একদিন স্থায়ী হয়। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা হয়েছে। অ্যাপ্রোচ রোড উঁচু করে নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে ঢাকার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।