হাসিনা প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে : অলি আহমদ

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে দেশদ্রোহীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার ও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, অন্যথায় কখনও সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। কারণ শেখ হাসিনা ভারতে বসে প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে এবং তার লোটাবাহিনীও সরকারের অভ্যন্তরে সক্রিয়। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মগবাজারের এলডিপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
অলি আহমদ বলেন, সরকারি বা বেসরকারি স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থাগুলোতে কাজের চরম ধীরগতি। গত এক বছরে কোনো কোনো সংস্থা বা মন্ত্রণালয়ে কাজের তেমন অগ্রগতি নেই বললেই চলে। উদাহরণস্বরূপ রাজউক। সমগ্র দেশে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি। কিছু কিছু মন্ত্রণালয় দেউলিয়াপনায় ভুগছে। কারণ এখনও স্বৈরাচারী সরকারের মদদপুষ্ট অনেক কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঘাপটি মেরে বসে আছে।
অলি আহমেদ বলেন, পৃথিবীতে প্রথমবার শুনলাম, নির্বাচনের আগে লটারির মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বদলি করা হবে। মনে হয় অনেকে আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে। বদলির জন্য লটারি কোনো সমাধান হতে পারে না। বরং বদলি করা হবে নির্দিষ্ট এলাকার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে। লক্ষ্য হওয়া উচিত অস্ত্রধারী এবং গুন্ডারা যেন নির্বাচন প্রভাবিত করতে না পারে। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসন আমলে রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে যে সমস্ত মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে, ঐ সব মামলাগুলো এখন পর্যন্ত পুরাপুরি প্রত্যাহার করা হয় নাই। আশাকরি উপদেষ্টা এই ব্যাপারে জরুরীভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন লডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম তালুকদার, লে. জেনারেল ড. চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, ড.নেয়ামূল বশির, ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, হামিদুর রহমান খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী, কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রমের গণমাধ্যমবিষয়ক উপদেষ্টা সালাহ উদ্দিন রাজ্জাক, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব বেলাল হোসেন মিয়াজী প্রমুখ।