কাশ্মীর ‘ইয়ুম-ই-ইস্তেহসাল’ পালন করল ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন

কাশ্মীরের সঙ্গে সংহতি রেখে ‘ইয়ুম-ই-ইস্তেহসাল’ বা শোষণ দিবস পালন করেছে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি কমিউনিটির সদস্য ও স্থানীয় গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরিফ এবং উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দারের বার্তা পাঠ করা হয়।
পাকিস্তানের নেতারা নিজেদের বার্তায় ভারতকে অবৈধভাবে অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) জনগণের বিরুদ্ধে অবৈধ কর্মকাণ্ড এবং অপরাধের জন্য জবাবদিহি আওতায় আনার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন, একইসঙ্গে অধিকৃত কাশ্মীরি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের জন্য ন্যায্য সংগ্রামের প্রতি পাকিস্তানের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বার্তায় বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধের ন্যায্য সমাধান আমাদের পররাষ্ট্র নীতির এক মূল স্তম্ভ এবং ভারতকে আইআইওজেকেতে মানবাধিকার অপরাধ বন্ধ করতে, ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের একতরফা ও অবৈধ পদক্ষেপ বাতিল করতে, কঠোর আইন বাতিল করতে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করার বার্তা দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি তার বার্তায় অপারেশন বুনিয়ান আম মারসুসের অসাধারণ সাফল্যকে জাতীয় গর্বের মুহূর্ত হিসেবে তুলে ধরেন এবং আইআইওজেকের জনগণের বৈধ অধিকার পূর্ণাঙ্গভাবে আদায়ের জন্য পাকিস্তানের অটল রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

আইআইওজেকেতে অব্যাহত ভারতীয় বর্বরতা এবং ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাতে পাকিস্তানের অপারেশন ‘বুনিয়ান আম মারসুস’ এর অসাধারণ সাফল্য তুলে ধরে ভিডিও ডকুমেন্টারি দর্শকদের দেখানো হয়। অনুষ্ঠানের ভারতীয় দখলদার বাহিনীর নৃশংসতার বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীও আয়োজন করা হয়।
স্বীয় বক্তব্যে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মুহাম্মদ ওয়াসিফ কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দখলদার বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেন। তিনি ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট নেওয়া সমস্ত একতরফা এবং অবৈধ পদক্ষেপ প্রত্যাহার না করা এবং কাশ্মীরি জনগণকে তাদের ইচ্ছা ও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুসারে আত্মনিয়ন্ত্রণের অবিচ্ছেদ্য অধিকার প্রদান না করা পর্যন্ত, সমস্ত প্রাসঙ্গিক মঞ্চে জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধ উত্থাপন অব্যাহত রাখার ব্যাপারে পাকিস্তানের দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন।