গণতন্ত্র উত্তরণের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে : মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র উত্তরণের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে। আজ সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী যুব দলের উদ্যোগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কথা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আশা করছি, আমাদের নেতা তারেক রহমান আমাদের যে পথ দেখাচ্ছেন, যে কথাগুলো বলছেন অর্থনীতি সম্পর্কে, রাজনীতি সম্পর্কে… তিনি দেশের সামনে যে স্বপ্ন তুলে ধরছেন সেই স্বপ্ন শুনে আমার একটি কথাই মনে হয় মার্টিন লুথার কিং এর সেই ঐতিহাসিক কথা … ‘আই হেভ এ ড্রিম’। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান এজ এ ড্রিম’। ইনশাল্লাহ সেই ড্রিম নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব এবং আমরা জয় করব এবং উই শেল ওভার কাম ইনশাল্লাহ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আহ্বান জানাতে চাই, আসুন আমরা পরস্পর পরস্পরকে কাঁদা ছোড়াছুড়ি না করে, আমরা এই যে একটা সুযোগ পেয়েছি, বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্রকে তৈরি করার, বাংলাদেশকে আবার অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ করার। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশকে সেই দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই, মাথা উঁচু করে দাঁড়াই। ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব।
‘গণতন্ত্র উত্তরণের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে’ উল্লেখ করে সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আজকে একটা ষড়যন্ত্র চলছে, একটা চক্রান্ত চলছে যে, দেশে আবার একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করার, দেশে একটা ষড়যন্ত্র তৈরি করার যেন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ট্রানজিশন সঠিক মত না হয়। কিন্তু আমরা এটা বিশ্বাস করি….যুবদল, ছাত্রদল যতদিন তারা টিকে থাকবে ততদিন এই দেশে এই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কোনো শক্তি কখনও জয়ী হতে পারবে না।
গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকতা দিতে এবং অর্থনীতিকে সচল করতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পদক্ষেপ তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্রের যতগুলো কাঠামো আছে সেই কাঠামোকে শক্ত ভিত্তিতে দাঁড় করানোর কাজটা বিএনপি করেছে, অর্থনীতিতে যে পরিবর্তন, অর্থনীতিতে যে উন্নয়নের লক্ষ্য সেটাও করেছে এই বিএনপি দেশনেত্রী এবং আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া রহমান সাহেবের।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখন আমরা ট্রানজিশনাল পিরিয়ডে আছি। যখন আমরা গণতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটা স্বপ্ন দেখছি, সুযোগ দেখছি। আমাদের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। যে একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি, একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজনৈতিক কাঠামো…। সেটাকে আবার ভিত্তি তৈরি করে, তাকে তৈরি করে আমাদের আবার সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
অনুষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যুবদলের নিহত ৭৮ পরিবারের শহীদ পরিবারের সদস্যদের সন্মাননা ও আর্থিক সহযোগিতা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব। জুলাই-অভ্যুত্থানের ওপর কবিতা আবৃত্তি করেন নাসিম আহমেদ।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি এম আবদুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মেহেদি আমিন, মানবাধিকার কর্মী সাইয়েদ আবদুল্লাহ, যুবদলের রবিউল ইসলাম নয়ন, দীর্ঘদিন গুম হয়ে থাকা অ্যাডভোকেট সোহেল রানা, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সায়েম আল মনসুর ফয়েজী, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের হাসপাতালে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সায়েম আল মনসুর ফয়েজী, শহীদ মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে আপন, ইয়াহিয়া আলীর মেয়ে তাইয়েবা খাতুন, হাফিজুর রহমান সুমনের স্ত্রী বিধী আখতার, নাদিম মিজানের স্ত্রী তাবাসসুম আখতার নেহা বক্তব্য দেন।