নাটোরে দোকানে তালা লাগিয়ে চাঁদা দাবির বিষয় অস্বীকার জেলা জামায়াতের

নাটোরের বড়াইগ্রামে ১১টি দোকানে তালা লাগিয়ে দখল চেষ্টার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াত নেতা রুহুল আমিনসহ ৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) অভিযুক্তদের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুর রহমান সুমনের আদালতে হাজির করে জামিনের আবেদন জানালে শুনানি শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন কোর্ট পুলিশের উপ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন।
এদিকে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে শহরের একটি কনফারেন্স সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা জামায়াত।
এতে জেলা জামায়াতের আমির ড. মীর নুরুল ইসলাম দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে বেহাত হওয়া পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করেছেন রুহুল আমিন ও তার পরিবার। এখানে রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার ও চাঁদাবাজির কোনো বিষয় ছিল না। তবে দোকানে তালা লাগানোর বিষয়টি ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেন জেলা আমির।
তিনি জানান, বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে সালিশ ডাকা হলেও প্রতিপক্ষ সেখানে হাজির হননি। এ অবস্থায় রুহুল আমিন ও তার ভাইয়েরা মিলে দোকানগুলোতে তালা লাগিয়ে দেয়। বিষয়টি কেন্দ্রীয় জামায়াত পর্যবেক্ষণ করছে। এ ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দলীয় পরিচয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের কোনো প্রমাণ পেলে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে বলেও জানান মীর নুরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাদেকুর রহমান, নায়েবে আমির অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন, সহকারি সেক্রেটারি আতিকুল ইসলাম রাসেলসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার(২৮ জুলাই) বিকেলে স্থানীয় জামায়াত নেতা রুহুল আমিন ও তার ভাই বিএনপি নেতা হায়দার আলীসহ স্বজনরা গিয়ে উপজেলার আহম্মদপুর বাজারের ১১টি দোকান নিজেদের দাবি করে। পরে তারা সেসব দোকানে তালা লাগিয়ে দিলে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সেনাবাহিনীর সহায়তা চাইলে সেনা সদস্যরা গিয়ে কাগজপত্র যাচাই বাছাই শেষে তালাবদ্ধ দোকানগুলোর তালা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করে এবং তালা লাগানোর সঙ্গে জড়িত জামায়াত নেতা রুহুল আমিন তার ভাই হায়দার আলী, অপর ভাই আজিম উদ্দিন ও তাদের বাবা মজিবর রহমানকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দখল চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। পরে আটককৃত ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেন বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন।