দুই বছরের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতি নেওয়া হবে দলগুলোর

‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ দুই বছরের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি চাইবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন (এনসিসি)।
আজ সোমবার (২৮ জুলাই) এনসিসি জুলাই জাতীয় সনদের (সংস্কার সনদ) খসড়া অংশগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পর্যালোচনা করার জন্য পাঠিয়েছে।
খসড়া অনুসারে, রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় সনদে সই করে এর বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেবে।
খসড়াটিতে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে— জুলাই সনদের প্রেক্ষাপট, সংস্কার কমিশন গঠন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের গঠন ও দায়িত্ব এবং সেইসঙ্গে দলগুলোর কাছ থেকে প্রতিশ্রুতির প্রস্তাবিত ঘোষণা।
তবে, চলমান দ্বিতীয় দফা আলোচনা শেষ হওয়ার পরে সম্মত সংস্কার প্রস্তাবগুলো চূড়ান্ত নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এনসিসির সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা সনদের খসড়া অংশগুলো পর্যালোচনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছি। চলমান সংলাপ শেষ হওয়ার পরে যে বিষয়গুলো (সম্মত সংস্কার সুপারিশ) নিয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো চূড়ান্ত সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
খসড়া অনুযায়ী, দলগুলো দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে তৈরি সনদটি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে, যা দীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এবং অসংখ্য মানুষের ত্যাগের পর জনসাধারণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ এবং দুর্নীতিবিরোধী কাঠামো সম্পর্কিত সংস্কারগুলো প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংশোধন, আইনি পরিবর্তন ও নীতিগত সংস্কারের মাধ্যমে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করবে।
এতে আরও বলা হয়, পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের পর গঠিত সরকারকে এই সনদ গ্রহণের পর দুই বছরের মধ্যে এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করতে হবে— যাতে সংস্কারগুলোর স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা যায়।
প্রতিশ্রুতি ঘোষণা অনুসারে, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্য সংবিধানে যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে।