২১ ঘণ্টা পর ইয়াছিনের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ

ফেনীর পরশুরাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি ইয়াছিন লিটনের (৪৫) মরদেহ ২১ ঘণ্টা পর হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিলোনিয়া চেকপোস্ট এলাকায় বিজিবি ও পুলিশের উপস্থিতিতে লিটনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ সময় নিহতের বাবা মনির আহম্মদ ছেলের মরদেহ গ্রহণ করেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দিনগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার গুথুমা বিওপির আওতাধীন ২১৬৪/৩-এস পিলার অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে কাঁটাতার বাউন্ডারির কাছে যান ইয়াছিন লিটন, জাকির হোসেন মিল্লাত ও মো. আফছার। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন তিনজন। ইয়াছিন লিটনকে বিএসএফ সদস্যরা ভারতের বিলোনিয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মিল্লাত ও আফছারকে উদ্ধার করে প্রথমে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিল্লাত মারা যান। আফছারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন পরশুরাম পৌর এলাকার বাসপদুয়া গ্রামের ইউছুফ মিয়ার ছেলে জাকির হোসেন মিল্লাত (২০) ও মনির আহম্মদের ছেলে মো. ইয়াছিন লিটন (৪৫)। আহত আফছার একই গ্রামের মৃত এয়ার আহম্মদের ছেলে (৩০)।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম জানান, বিএসএফ মরদেহ হস্তান্তরের পর তা ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মরদেহ হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী ব্যাটালিয়নের (৪ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, বিএসএফের ৪৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এএস বীরেন্দ্র সিং, পরশুরাম মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল হাকিম, ভারতের বিলোনিয়া থানার ওসি শিবু রঞ্জন দে প্রমুখ।