নিপীড়িত মানুষের মাঝে সংহতি গড়ে তুলবো : নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমাদের লড়াই শুধু বাংলাদেশ নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়াব্যাপী। বাংলাদেশের সীমান্তে হত্যা হচ্ছে। বাংলাদেশ সীমান্তে মুসলিমদের পুশইন করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় মুসলিম এবং যত ছোট ছোট নৃগোষ্ঠী রয়েছে সকলের ঐক্য দরকার। আমরা সকলের ঐক্য গড়ে তুলবো। বাংলাদেশে মুসলিম, দলিত, নিপীড়িত মানুষের মাঝে আমরা সংহতি গড়ে তুলবো।
হবিগঞ্জ শহরের এম সাইফুর রহমান টাউন হলের সামনে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে আয়োজিত দলীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের লড়াই মুজিববাদ এবং ফ্যাসিবাদী বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে। এ লড়াই আমরা জুলাই-আগস্টে শুরু করেছিলাম। আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। আমাদের এ লড়াই এখনো শেষ হয়নি। কারণ আমরা আমাদের নতুন বাংলাদেশ পাইনি। জনগণের পাশে আমাদেরকে আবারও দাঁড়াতে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এলাকায় এলাকায় যে দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি আবারও শুরু হচ্ছে। মুজিববাদের যে পুনর্বাসন হচ্ছে, চাঁদাবাজ, দখলদারিত্বের যে রাজনীতি শুরু হচ্ছে, আমাদেরকে সে রাজনীতি ঠেকিয়ে দিতে হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী লড়াইয়ে বাংলাদেশে যে একতা, যে সংহতি তৈরি হয়েছে, রাজনৈতিক দল এবং জনগণের মধ্যে সেই সংহতি ঐক্য আমাদের ধরে রাখতে হবে। তার মানে এই নয় যে, আমরা চাঁদাবাজদের প্রশ্রয় দেব।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমরা বলেছিলাম কোনো সন্ত্রাসীকেও বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করা হবে না। ভিন্নমতের অধিকারী হলেও আমি তার মানবাধিকারের পক্ষে থাকব। আমরা দেখেছি যৌথবাহিনী দ্বারা যুবদলের একজন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সেই হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা যেমন চাঁদাবাজির বিরোধিতা করি, তেমনি বিচার বহির্ভূত হত্যারও বিরোধিতা করি।
সারজিস আলমের পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারোয়ার নিপা, ডা. তাসনিম জারা, আব্দুল হান্নান মাসউদ, নাহিদ উদ্দিন তারেক প্রমুখ।
এর আগে এনসিপি নেতৃবৃন্দ সার্কিট হাউজে জেলার শহীদ পরিবারগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে সার্কিট হাউজ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।