মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় নিহত রাঙামাটির উক্য চিং মারমার পরিবারে শোকের মাতম

ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত হওয়া রাঙামাটির সন্তান উক্য চিং মারমার পরিবারে গভীর শোকের মাতম চলছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে তার বাড়ি রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের কলেজ এলাকায় দেখা যায়, তার দাদু কংহলাপ্রু মারমা (৭৫) এবং দাদি ক্রাপ্রুমা মারমা (৬৫) নাতিকে হারানোর শোকে মূর্ছা যাচ্ছেন। পরিবারের বাকি সদস্যরাও কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে দাদু কংহলাপ্রু মারমা বলেন, নাতিকে এভাবে হারাব কখনও ভাবিনি। অত্যন্ত ভদ্র ও সুর্দশন ছিল আমার নাতি। সে অনেক মেধাবী ছাত্র ছিল। উচ্চ শিক্ষার জন্য ঢাকাতে গিয়েছিল। উক্য চিং মারমা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইংরেজি মাধ্যমের সপ্তম শ্রেণিতে পড়াশোনা করত। লাশ হয়ে ফিরছে আমার নাতি। নাতির সঙ্গে কত স্মৃতি। তার মা বাবা খবর পেয়ে ঢাকাতে ছুটে গেছেন। আজকে নাতির মরদেহ নিয়ে আসবে। আগামীকাল নাতিকে বাঙালহালিয়া কিউংধং পাড়ায় দাহ করা হবে।
এদিকে, নাতির পুরোনো ছবি দেখে বারবার বিলাপ করছেন দাদি ক্রাপ্রুমা মারমা। তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, নাতিকে ছোটবেলায় কোলে পিঠে আদর করে মানুষ করেছি। তারা বান্দরবান থাকলেও ছুটিতে দাদুর বাড়িতে আসত। কত দুষ্টুমি করত আমার নাতিটা। নাতির এই মৃত্যু আমরা কোনোভাবেই মানতে পারছিনা।
ফোনে যোগাযোগ করা হলে নিহত উক্য চিংয়ের বাবা উসাইমং মারমা জানান, ইতিমধ্যে তারা ছেলের মরদেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
সোমবার বেলা ১টার দিকে ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। সেখানেই স্কুলে অবস্থান করছিল রাঙামাটির ছেলে উক্য চিং মারমা। এই ঘটনায় তার শরীরের শতভাগ অংশ দগ্ধ হয়। রাতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারায় সে।