মোংলার ব্যবহার বাড়ালে চট্টগ্রামের ওপর চাপ কমবে : এনবিআর চেয়ারম্যান

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেছেন, আমরা গত তিন মাস বাজেট নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। এখন আমরা মাঠপর্যায়ের বাস্তব চিত্র বুঝতে চাই। মোংলা পোর্টের অবকাঠামো, সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা বোঝা এবং এখানে কার্যক্রম কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটিই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য।
আজ মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকালে মোংলা কাস্টমস হাউসের সুন্দরবন সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, আজ সকালে তিনি প্রথমে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজস্ব বিষয়ক বৈঠক করেন ও মোংলা বন্দর জেটি পরিদর্শন করেন। এরপর সিএন্ডএফ ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, মোংলা কাস্টমস হাউসের অপারেশনাল ক্যাপাসিটিকে আরও কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে চাই, যাতে ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ গ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম বন্দরের যে মাত্রার ব্যবহার ও ব্যস্ততা, তার তুলনায় মোংলা বন্দরের ব্যবহার অনেক কম। মোংলার ব্যবহার বাড়ালে চট্টগ্রামের ওপর চাপ কমবে, খরচ কমবে, জনগণ উপকৃত হবে।
আবদুর রহমান খান বলেন, এখানে যারা পোর্ট ব্যবহার করেন, তাদের সমস্যাগুলো শুনে আমরা তা সমাধানে কাজ করতে চাই। কাস্টমস অফিসারদের কাজের পরিবেশ, সুযোগ-সুবিধা কেমন- তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাড়ি আমদানিকারকদের সঙ্গে এ নিয়ে কয়েকবার বৈঠক হয়েছে, আবারও হবে। আমরা চাই তারা যেন সহজে সার্ভিস পান এবং মোংলা বন্দর বেশি ব্যবহার করেন।
সফরে তার সঙ্গে ছিলেন এনবিআরের সদস্য (কাস্টমস নীতি ও আইসিটি) মুহাম্মদ মুবিনুল কবীর, সদস্য (কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, একান্ত সচিব আতাউল গনি ওসমানী ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আল আমিন শেখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মু. সফিউজ্জামান, খুলনা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কমিশনার, খুলনার কর কমিশনার ও কর অঞ্চলের কর্মকর্তারা।
মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মু. সফিউজ্জামান জানান, মোংলা কাস্টমস হাউসের সরকারি অফিস ও আবাসনের ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধির পাশাপাশি বিদ্যমান সমস্যার সমাধান চাওয়া হয়েছে।
সফিউজ্জামান বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি, মোংলায় দ্রুত মালামাল খালাস হয় ও চট্টগ্রামের তুলনায় পোর্ট ডেমারেজ কম। এনবিআরের পক্ষ থেকে আমদানিকৃত সব গাড়ি মোংলা বন্দর দিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান বন্দর, কাস্টমস ও ব্যবসায়ীদের সমস্যাগুলো সরেজমিনে দেখেছেন এবং সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।