দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন যারা

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনের ওপর বিধ্বস্ত হয়। এ সময় বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭১ জন চিকিৎসা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। এর মধ্যে ২৮ জনের পরিচয় ও পুড়ে যাওয়ার ধরন প্রকাশ করেছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।
আইএসপিআর দেওয়া তথ্য মতে, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আটজন, জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ৭০ জন ও নিহত দুজন, সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ১৭ জন ও নিহত ১১ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিহত দুজন, উত্তরা লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে চিকিৎসাধীন ১১ জন ও নিহত দুজন, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৬০ জন ও নিহত একজন এবং উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট প্রকাশিত তালিকায় দেখা গেছে, দগ্ধদের বেশির ভাগের বয়সই ১০ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে। এর মধ্যে সাতজন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আইসিইউতে চিকিৎসাধীনের মধ্যে নাফিস, আফনান ও শায়ান ইউসুফের শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। শামিম শরীরের ৯০ শতাংশ, মাহিয়ার শরীরের ৪৫ শতাংশ ও বাপ্পি সরকারের শরীরের ৩৫ শতাংশ ও সামিয়া ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
বাকিদের মধ্যে এরিকসন ও মেহরিনের শরীরের শতভাগ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া দুজনের দগ্ধ হয়েছে ৮০ শতাংশ করে। তারা হলেন—১৩ বছর বয়সী নাজিয়া ও মাহতাব। ৬২ শতাংশ দগ্ধ হয় ১৫ বছর বয়সী মাকিনের। ৬০ শতাংশ করে দগ্ধ হন আয়ান (১৪) ও মাসুমা। অন্যদের মধ্যে তাসনিয়ার ৩৫ শতাংশ, ১১ বছর বয়সী আরিয়ানের ৫৫ শতাংশ, আশরাফুল ইসলামের ১৫ শতাংশ, রোহানের ৫০ শতাংশ, শ্রেয়ার পাঁচ শতাংশ, কাব্য ২০ শতাংশ, ইউশা ছয় শতাংশ ও রূপী বড়ুয়ার ছয় শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
এছাড়া তাসমিয়া পাঁচ শতাংশ, জায়ানা আট শতাংশ, সাইবা আট শতাংশ, পায়েল ১০ শতাংশ, আবির ২০ শতাংশ, কাফি আহমেদ ১০ শতাংশ, মুনতাহা পাঁচ শতাংশ, আলবিনা পাঁচ শতাংশ ও নিলয়ের শরীরের ১৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।