জুনায়েদের সন্ধানে হাসপাতালে দিশেহারা বাবা

‘কোথায় আমার জুনায়েদ? সকালে আমার ছেলেটা গরম ভাত খেয়ে বের হয়েছে। আপনারা কেউ দেখছেন আমার মনিকে’, কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র জুনায়েদের বাবা।
আজ সোমবার (২১ জুলাই) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে যে কাউকেই জড়িয়ে ধরে সন্তানের খোঁজ জানতে চাচ্ছেন এবং এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছেন জুনায়েদের বাবা।
এর আগে ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত একজনের মৃত্যু এবং কমপক্ষে ২৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, উদ্ধারকাজে সহায়তায় হেলিকপ্টার ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন এনটিভি অনলাইনকে জানান, কতজন এসেছে তার কোনো হিসাব নেই। তবে আমার হাসপাতাল পুরোটাই ভর্তি। আপাতত চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে পুরো টিম।
এ দিকে আন্তঃবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর জানিয়েছে, বিমান বাহিনীর ‘এফ-৭ বিজেআই’ যুদ্ধবিমানটি রোববার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। অনেক দূর থেকেও সেখানে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। জ্বলন্ত উড়োজাহাজটির আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।