‘আল্লাহ তুমি আমার ছেলেরে সুস্থ করে দিও’

রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর আহত প্রায় অর্ধশত আহত শিক্ষার্থীকে আনা হয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। সেখানে আহতের স্বজনদের অহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠছে।
‘আল্লাহরে তুমি আমার ছেলেরে সুস্থ করে দিও’ বলে আহাজারি করছেন মাহিদ হাসান আরিয়ান নামের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মা। তিনি বলেন, ‘অসুস্থতা থেকে সুস্থ হয়ে আজই গেল ক্লাসে আমার আরিয়ান। সেখানেই আগুনে পুড়ল সে’। এই বলে অঝোড়ে বিলাপ করছেন আর তার শরীর পুড়ে যাওয়ার বর্ণনা দিচ্ছেন এবং তার সুস্থতার জন্যে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছেন।
বিমান দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, উদ্ধারকাজে সহায়তায় হেলিকপ্টার, সেনাবাহিনী ও দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শতাধিক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে।
রাজধানীর তেজগাঁও পুরোনো বিমানবন্দর থেকে বিমানটি উড্ডয়নের পর পরই দুপুর ১টা ৬ মিনিটের দিকে উত্তরার মাইলস্টোনে স্কুল এন্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনের ওপর বিমানটি আছড়ে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেন।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টা প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক শোক বার্তায় তা জানানো হয়েছে।
আহতদের উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতাল ও জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে।
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল বলেন, “বিমানটি একটি ভবনের গেটে আছড়ে পড়ে। সেটি একাডেমিক ভবন। সেখানে স্কুলের বাচ্চাদের ক্লাস চলছিল। একের পর এক আহতদের বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”