বরিশালে বাসা থেকে শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার

বরিশাল নগরের একটি ভাড়া বাসা থেকে মো. মহিউদ্দিন নামে এক স্কুল শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দিনগত রাতে নগরের করিম কুটির মসজিদ গলির একটি বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মহিউদ্দিন হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। তিনি বরিশালের উজিরপুর উপজেলার হরিদ্রাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মাঝির ছেলে।
পুলিশ জানায়, নগরের করিম কুটির মসজিদ গলির স্মরণিকা ভিলার নিচতলায় তিনি একা ভাড়া থাকতেন। স্থানীয়রা দুপুরের পর থেকে তাকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখলেও রাতে একই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়। পরে তারা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করেন। পুলিশ গিয়ে খাটের ওপর মহিউদ্দিনের নিথর দেহ দেখতে পায়। এরপর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
মহিউদ্দিনের বড় ভাই পিরোজপুর জিলা স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিমউদ্দীন বলেন, আমার ভাইয়ের হঠাৎ মৃত্যু মেনে নিতে পারছি না। যদি তাকে হত্যা করা হয়ে থাকে, আল্লাহ যেন হত্যাকারীর বিচার করেন। মৃত্যুর খবর সবাইকে জানিয়েছি, কিন্তু তার স্কুল থেকে কেউ এসে খোঁজও নেয়নি।
মৃতের ছোট ভাই বরিশাল বিএম স্কুলের শিক্ষক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে ভাইয়ের বিরোধ ছিল। তিনি বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলেন, সাংবাদিকদেরও জানিয়েছিলেন। এরপর থেকেই নানা ধরনের হুমকি পেয়ে আসছিলেন। কয়েক মাস আগে বহিরাগতদের দিয়ে তাকে মারধরও করা হয়। এসব নিয়ে তিনি পরিবারে কিছু বলতেন না। সব কিছু নিজে একা সামলানোর চেষ্টা করতেন। শেষমেশ কোনো ফল না পেয়ে পদত্যাগও করেন। আমাদের ধারণা, তার মৃত্যুর পেছনে এসব ঘটনাই জড়িত।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করছি, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। কীভাবে এগোবো সে বিষয়ে পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, স্বজনরা অভিযোগ করলে সে অনুযায়ী তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।