ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’

সাধারণত বৃষ্টি হলে কিংবা ছুটির দিনগুলোতে রাস্তাঘাটে যানবাহন ও জনসমাগম কম থাকায় বাতাসের মান ভালো অবস্থানে থাকে। তবে গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির পরও আজ রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিশ্বে বায়ুদূষণের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে শহরটি।
আজ ঢাকার বাতাসের মান ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’। সকাল ৯টার দিকে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ১২৩। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার এ তথ্য জানিয়েছে।
আজকের তালিকায় সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে উঠে এসেছে কঙ্গোর রাজধানী কিনশাসা। যার একিউআই স্কোর সর্বোচ্চ রেকর্ড ১৭৪। এরপর যথাক্রমে ১৬৭, ১৫৯ ও ১৫৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, পাকিস্তানের লাহোর, ও বাহরাইনের মানামা।
তালিকায় পরবর্তী দুটি স্থানে আছে— উগান্ডার কাম্পালা ও ব্রাজিলে সাওপালো। যাদের স্কোর যথাক্রমে—১১২৪ ও ১২৩।
একিউআই মান অনুযায়ী, ৫০ থেকে ১০০ স্কোর থাকলে তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।