মোংলা পৌরসভার ডাম্পিং বর্জ্যে নদী ও পরিবেশ দূষণের অভিযোগ

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মোংলা পোর্ট পৌরসভার ডাম্পিং বর্জ্যে সুন্দরবনের নদী ও পরিবেশ দূষণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বক্তারা। আজ বুধবার (৪ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মোংলার মেরিন ড্রাইভ রোডে প্রতীকী প্লাস্টিক বর্জ্য পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচিতে বক্তারা এ অভিযোগ করেন।
বক্তারা বলেন, মোংলা পোর্ট পৌরসভার ডাম্পিং করা প্লাস্টিক, পলিথিন বর্জ্য থেকে সুন্দরবন, নদ-নদী ও পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। শহরের ফুসফুস পশুর ও মোংলা নদীর মোহনায় মেরিন ড্রাইভ রোডের পাশে পৌরসভার বর্জ্য ডাম্পিং বন্ধ করতে হবে। গবেষণায় পশুর ও মোংলা নদীর ১৭ প্রজাতির মাছে মাইক্রো প্লাস্টিকের কণা পাওয়া গেছে। এসব মাছ খাওয়া জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি, যার পরিণাম মৃত্যু। তাই প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করার এখনই সময়।
কর্মসূচিতে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ও সার্ভিস বাংলাদেশর আয়োজনে এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচি পালিত হয়।
প্রতীকী প্লাস্টিক বর্জ্য পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ।
এ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ধরার কমলা সরকার, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের আব্দুর রশিদ হাওলাদার, সার্ভিস বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, সুন্দরবন রক্ষায় আমরার হাছিব সরদার, ছাত্রনেতা শেখ সিফাতুল্লাহ শুভ, আরাফাত আমীন দুর্জয়, ডলার মোল্লা, সাব্বির হাসান দীপ্ত, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার মেহেদী হাসান, ইয়ুথ ফর সুন্দরবন ফোরামের মোহাম্মদ শাহীন খলিফা, মোংলা নাগরিক সমাজের জানে আলম বাবু, সিএনআরএসের নুশরাত বেগম, বিডি ক্লিনের আবু হাসান ও ফাতেমা জান্নাত।
প্রধান অতিথি মো. নূর আলম শেখ বলেন, প্রতিবছর প্রায় ১১ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য জলজ পরিবেশে প্রবেশ করছে। এসব বর্জ্য জীববৈচিত্র্য ও মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে। প্রাথমিকভাবে উপকূলীয় এলাকা থেকে এবং পর্যায়ক্রমে সমগ্র দেশ থেকে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করতে হবে। বিশ্ব ঐতিহ্য এশিয়ার ফুসফুস সুন্দরবনে প্লাস্টিক পলিথিন দূষণ বন্ধে এখনই কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধান অতিথি বলেন, আসুন প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধ করি, পরিবেশ সম্মত বিশ্ব গড়ি।