হরিরামপুরে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ‘কালামানিক’

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের সবচেয়ে বড় ষাঁড় ‘কালামানিক’ ভাই ভাই ক্যাটল ফার্মের খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পিয়াজচর গ্রামের নিজ বাড়িতে গড়ে তোলা এই খামারে কালামানিককে দিনরাত দেখাশোনা করছেন মালিক আক্কাস ব্যাপারী, রফিকুল ব্যাপারী ও আরও দুজন।
আগের কোরবানিতে তাদের আরেকটি বড় ষাঁড় ৬ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এবার কালামানিকের দাম চাওয়া হচ্ছে ৯ লাখ টাকা। এটি জেলার অন্যতম বৃহৎ গরু হিসেবে পরিচিত। কালামানিককে দেখতে প্রতিদিনই এলাকাবাসীর ভিড় জমে।
কালো রঙের হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান (অস্ট্রেলিয়ান) জাতের ৩০ মাস বয়সী কালামানিককে শখের বসেই আদর করে লালন-পালন করা হচ্ছে বলে জানান আক্কাস ব্যাপারী।
তার ভাই রফিকুল ব্যাপারী জানান, কালামানিককে সম্পূর্ণ ভেজালমুক্ত খাবার খাওয়ানো হয়েছে। এক বছরে কয়েকশ বস্তা ছাটাই, গম, পায়রা, খড়, গমের ভুশি, তাজা ঘাস ও ভুট্টা দেওয়া হয়েছে। কোনো ধরনের রাসায়নিক খাবার খাওয়ানো হয়নি।
আক্কাস ব্যাপারী বলেন, কালামানিককে নিজের সন্তানের মতো লালন করছি। দিনে দুবার থেকে তিনবার গোসল করাই, মাঝে মাঝে শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয়। খাবারে জমির ঘাস, খড়, পায়রা আর ছাঁটাই ব্যবহার করি। কালো রঙের হওয়ায় নাম দিয়েছি কালামানিক।
ভেটেরিনারি ডাক্তার ডা. রবিন ব্যাপারী বলেন, আমাদের খামারের সবচেয়ে বড় ষাঁড় কালামানিক হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের। এটি আমাদের বাড়ির গাভীর থেকেই প্রজনিত। ৩০ মাস ধরে বাবা, চাচা ও দুজন কর্মচারী এটি পালন করেছেন। খাবার হিসেবে জমির ঘাস, খড়, পায়রা ও ভুসি খাওয়ানো হয়েছে।
হরিরামপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, যদি খামারি ভাই দুজন তাদের বড় ষাঁড়টি ভালো দামে বিক্রি করতে পারেন, তাহলে তারা লাভবান হবেন। আমরা নিয়মিত খামারির বাড়িতে যাই ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি।