পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে এক ব্যতিক্রমধর্মী ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিনগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া গ্রামে মুখোশধারী একদল ডাকাত দুটি বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় এক ব্যবসায়ী ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাকাতরা তাকে পানি খাইয়ে সুস্থ করে তোলে। পরে ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্র ও ভুক্তভোগীদের বরাতে জানা গেছে, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওষুধ ব্যবসায়ী সোবহান হাওলাদারের (৬০) পাকা ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে ডাকাতরা। অস্ত্রের মুখে নিজেদের পরিচয় দিলে গৃহকর্তা ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন ডাকাত সদস্যরা তাকে পানি পান করিয়ে কিছুটা সেবাযত্ন করে। পরে তারা ঘরের আলমারি ও আসবাবপত্র তছনছ করে এক ভরি স্বর্ণের চেইন, নগদ ১০ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল লুট করে।

একই সময়ে একই বাড়ির আরেকটি আধাপাকা ঘরেও হানা দেয় ডাকাতদল। সোবহান হাওলাদারের ভাতিজা ও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম লায়েসের ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে ডাকাতরা। 

জহিরুল ইসলাম জানান, প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে মুখোশধারীরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাদের চোখ-মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলে। এরপর ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে প্রায় আড়াই ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ১৮ হাজার টাকা লুট করে নেয়।

ভুক্তভোগীদের দাবি, ডাকাতির সময় কেউ চিৎকার না করায় কিংবা বাধা না দেওয়ায় ডাকাতরা কাউকে শারীরিকভাবে আঘাত করেনি। দুটি ঘর থেকে মোট সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ২৮ হাজার টাকা ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায় ডাকাত দল।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হাওলাদার বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’