সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগে করা মামলায় ৭০ বছরের সাজা পেয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব।

উচ্চ আদালত থেকে জামিনের আদেশ পাওয়ার পর আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান হাবিবুল ইসলাম হাবিব।

গতকাল সোমবার এই বিএনপিনেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পৃথক তিনটি জামিননামা সম্পাদন করেন সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালতের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ। গত ২৭ আগস্ট দুপুরে উচ্চ আদালতের ১১ নম্বর বেঞ্চ থেকে তিনিসহ কারাগারে থাকা ৪৬ বিএনপির নেতাকর্মীকে জামিন দেওয়া হয়।

হাবিবুল ইসলাম হাবিব জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরে আজ দুপুর থেকে সাতক্ষীরাসহ তালা-কলারোয়া এলাকার সহস্রাধিক নেতা-কর্মী তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় জমান। পরে নানা স্লোগানে রাজপথ মুখরিত করে বিএনপিনেতা হাবিবকে নিয়ে তাঁরা নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল হাবিবকে স্বাগত জানান। পরে সবার সঙ্গে সাক্ষাত করে কুশল বিনিময় করেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় পরে ধানমণ্ডির বাসভবনে চলে যান তিনি।

এ সময় সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক তারিকুল হাসান, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল হাসান হাদি, জেলা যুবদলের প্রধান সমন্বয়ক আইনুল ইসলাম নান্টাসহ সাতক্ষীরা জেলা, তালা ও কলারোয়ার বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ বলেন, ২০০২ সালে কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনার ১২ বছর পর কলারোয়া থানায় একটি মিথ্যা মামলা করা হয়। এই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে পৃথক তিনটি চার্জশিট দাখিল করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত হাবিবসহ ৫০ বিএনপির নেতাকর্মীকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। এর মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবকে সর্বোচ্চ ৭০ বছরের সাজা দেন আদালত।

আব্দুল মজিদ আরও বলেন, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কারাবন্দি বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়। ইতোমধ্যেই এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে চারজন বিএনপির নেতাকর্মী কারাগারে মারা গেছেন। তাই হাবিবসহ বিএনপির ৪৬ নেতাকর্মী দীর্ঘদিন কারা ভোগের পর আজ কারামুক্ত হলেন।