দেশে কয়েকদিন ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে সারাদেশ অচল করার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসরে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল যারা, তাদের তালিকা জাতির সামনে তুলে ধরার দাবি জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। একইসঙ্গে ইউনিয়ন নেতারা সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতরে দাবি জানান। তারা এমন এক পরিস্থিতিতে ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করে দেশ ও জনগণকে রক্ষা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আজ বুধবার (২৪ জুলাই) ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের বিপৎগামী করার মাধ্যমে বিএনপি ও ’৭১-এর পরাজিত শক্তি যে নগ্ন খেলা শুরু করেছিল, তা সরকার বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে।

ডিইউজের দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী স্বাক্ষরতি এক বিবৃতিতে নেতারা আরও বলেন, এ নৈরাজ্যের সময় তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি সাংবাদিকরাও। এ সময় সাংবাদিক নিহতসহ আহত হয়েছেন শতাধিক। এমনকি, রাষ্ট্রীয় সম্পাদ মেট্রোরেল, বিটিভি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিস, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজা, সেতু ভবন, ডাটা সেন্টার, এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় হামলা চালিয়ে এ চক্র হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পাদ ধ্বংস করেছে। সারাদেশ অচল করার মাধ্যমে জনগণের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছিল তারা। ১৯৭১ সালের মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছিল। সে পরিস্থিতি ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রী দেশ ও জনগণকে যেভাবে রক্ষা করেছেন তা তুলনাহীন।

বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। কোনোভাবেই এই গোষ্ঠীকে আর ছাড় দেওয়া যাবে না। সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবার তালিকা জাতির সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে গঠিত তদন্ত কমিশনকে সাংবাদিক নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনার পূর্বাপর বিশ্লেষণ করতে হবে। সেইসঙ্গে নিহত সাংবাদিকদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং আহত সাংবাদিকদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে।