নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৯ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত। আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ (অস্থায়ী)-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ তারিখ ধার্য করেন।

এদিন, নাইকো মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মুহা. মাহবুবুল আলমকে জেরার দিন ধার্য ছিল। তবে, অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি খালেদা জিয়া। তার পক্ষে আইনজীবী জিয়া উদ্দিন হাজিরা দেন। এরপর খালেদা জিয়ার পক্ষে দুদক কর্মকর্তাকে জেরা করেন আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। তবে, এ দিন জেরা শেষ না হওয়ায় আগামী ১৯ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। পরের বছরের ৫ মে ওই মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন–বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ (প্রয়াত), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন (প্রয়াত), সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের মৃত্যু হওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।