বেপরোয়া মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণের সুপারিশ

খুলনায় জনগণের চলাচল নিরাপদ রাখতে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা এবং দ্রুতগতিতে অতুল-মাহেন্দ্রর চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এসব পরিবহনে অতিরিক্ত যাত্রী বহন নিয়ন্ত্রণেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
সভায় জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এতে বলা হয়, চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের বিষয়ে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণে খুলনার প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এই নিয়মিত সভা থেকে জানানো হয়, মাদকের বিস্তার রোধে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচেতনতামূলক কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এ জন্য নিয়মিত মোবাইল কোর্ট ও টাস্কফোর্সের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ডাকবাংলো থেকে পিকচার প্যালেস মোড়সহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ হকার উচ্ছেদে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা ও শেখ মো. নূরুল হক, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম অজিয়র রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, র্যাব ও বিজিবির প্রতিনিধিরা।
সভায় আইনশৃঙ্খলা প্রতিবেদনে জানানো হয়, খুলনা মহানগরীর আটটি থানায় গত এপ্রিল মাসে একটি ডাকাতি, একটি রাহাজানি, সাতটি চুরি, তিনটি খুন, অস্ত্র আইনে দুটি, দ্রুত বিচার আইনে পাঁচটি, ধর্ষণের একটি, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ১৪টি, মাদকদ্রব্য বহন আইনে ৬২টি এবং অন্যান্য ৫০টিসহ মোট ১৪৬টি মামলা হয়েছে। গত মার্চ মাসে এ সংখ্যা ছিল ১৪১টি।
এ ছাড়া জেলার নয়টি থানায় এপ্রিল মাসে একটি ডাকাতি, একটি চুরি, ছয়টি খুন, অস্ত্র আইনে দুটি, পাঁচটি ধর্ষণ মামলা, নারী ও শিশু নির্যাতনে ১৬টি, নারী ও শিশুপাচারের অপরাধে দুটি, মাদকদ্রব্য আইনে ২৪টি এবং অন্যান্য আইনে ৫৮টিসহ মোট ১১৫টি মামলা দায়ের হয়। মার্চ মাসে মামলা দায়ের হয়েছিল মোট ১২৯টি।