নবীগঞ্জে স্কুলছাত্রকে গলা কেটে হত্যা

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বোয়ালজুর গ্রামের এক স্কুলছাত্রের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ স্থানীয় কালীগঞ্জের কাছে জোয়ালভাঙ্গা হাওর থেকে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহত শাহনাজ মিয়া (১৫) বোয়ালজুর গ্রামের কৃষক ইউনুস মিয়ার ছেলে। সে আউশকান্দি রশিদিয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে গলা কেটে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকজন।
এ ঘটনায় বোয়ালজুর গ্রামে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ক্রাইমজোন হিসেবে খ্যাত বোয়ালজুর গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে যুগ যুগ ধরে একের পর এক খুন, রাহাজানি, একাধিক হামলা-মামলার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি একটি হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির ফাঁসিসহ কয়েকজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন আদালত।
নিহত শাহনাজ মিয়ার মা ময়না বিবি জানান, গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে তাঁর ছেলে শাহনাজকে ফুটবল প্রতিযোগিতার পোস্টার লাগানোর জন্য ঘর থেকে ডেকে নেয় একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জসিম আহমদ লিজুসহ অন্যরা। এর পর থেকে শাহনাজ আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। সারা রাত গ্রামের বিভিন্ন স্থানসহ আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে আজ সোমবার সকাল ৭টার দিকে খবর পাওয়া যায়, স্থানীয় জোয়ালভাঙ্গা হাওরে পড়ে আছে শাহনাজের মৃতদেহ। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন খান বলেন, ধারণা করা যাচ্ছে ঘাতকরা শাহনাজকে রাতে অন্য স্থানে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে জোয়ালভাঙ্গা হাওরে ফেলে রাখে। লাশের সুরতহাল তৈরি করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, উপজেলার বোয়ালজুর গ্রামে পূর্ববিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ১৮ থেকে ১৯টি মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছে।