বাড়ি-গাড়ি কিছুই নেই, আইভির আয় শুধু বেতন

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভির বাড়ি ও গাড়ি নেই। কোনো জমিজমারও একক মালিক নন তিনি। মেয়র হিসেবে যে বেতন নিয়েছেন, সেটাই তাঁর একমাত্র আয়।
নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হলফনামায় এমন তথ্যই দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সদ্য বিদায়ী মেয়র আইভি। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র। ২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠিত হয়। একই বছর ৩০ অক্টোবর আওয়ামী লীগ সমর্থিত শামীম ওসমানকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
এর আগে আইভী বিলুপ্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন। ২০০৩ সালের ১৬ জানুয়ারি তিনি মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি ওই পদে বহাল ছিলেন।
২০১৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র পদে নির্বাচন করছেন আইভি। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বার্ষিক আয় কেবল ১১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এ অর্থ তিনি মেয়র হিসেবে সম্মানী ও বেতনভাতার মাধ্যমে পেয়েছেন।
হলফনামায় আইভি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট নেই। তাঁর নামে কোনো আবাসিক বা বাণিজ্যিক দালানও নেই। তিনি কোনো কৃষি জমির মালিক নন। অকৃষি জমি আছে তবে যৌথ মালিকানায়। ওই জমির পরিমাণ ১১২ শতাংশ।
আইভি জানিয়েছেন, ওই জমির ৮ ভাগের ১ অংশের মালিক তিনি। অন্য কোনো সম্পদ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। হলফনামায় গাড়ির কোনো উল্লেখ নেই।
হলফনামায় আইভি আরো জানান, কৃষি খাত, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট বা দোকান, ব্যবসা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র বা ব্যাংক আমানত থেকে তাঁর কোনো আয় নেই। আইভি এমবিবিএস ও এমডি করেছেন বলে হলফনামায় জানিয়েছেন। তবে চিকিৎসা বা অন্যকোনো পেশা থেকে কোনো আয় নেই বলে জানান। এ ছাড়া কোনো চাকরির সঙ্গেও তিনি নেই বলে জানান।
হলফনামায় আইভি জানান, তাঁর কাছে নগদ টাকা আছে সাড়ে তিন লাখ। ব্যাংকে ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমানো আছে ১৫ লাখ ২১ হাজার ৪৭১ টাকা। স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু আছে যার পরিমাণ ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ইলেকট্রনিক সামগ্রী আছে ২ লাখ টাকা। আসবাবপত্র আছে এক লাখ ৯২ হাজার ৭৭৯ টাকার। আইভি অন্যদের ঋণ দিয়েছেন। ১৭ লাখ টাকা অন্যদের ঋণ হিসেবে দিয়েছেন বলে জানান আইভি।
২০১১ সালের সিটি নির্বাচনেও ছিল কেবল বেতন!
২০১১ সালের সিটি নির্বাচনেও আয়ের উৎস হিসেবে কেবল বেতন দেখিয়েছিলেন সেলিনা হায়াত আইভি। ওই সময় দেওয়া হলফনামায় আইভি জানান তাঁর বার্ষিক আয় ১৬ লাখ ৪৭ হাজার টাকা। এ টাকা নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র হিসেবে সম্মানি ভাতা থেকে এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ওই হলফনামায় আইভি জানান, কৃষি খাত, বাড়ি, ব্যবসা, শেয়ার থেকে তাঁর কোনো আয় নেই। পেশা ও চাকরির সঙ্গেও তিনি জড়িত নন বলে তিনি জানান।
ওই হলফনামায় আইভি জানান, তাঁর কোনো কৃষি জমি নেই। নেই বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট। তিনি কোনো বাণিজ্যিক বা আবাসিক বাড়ির মালিক নন। তাঁর নামে নেই কোনো খামারও। তাঁর কোনো গাড়িও নেই।
২০১৬ এর মত ২০১১ সালেও আইভি দেখিয়েছেন যৌথ মালিকানায় ১১২ শতাংশ জমি আছে। তিনি এর আট ভাগের ১ অংশের মালিক।
২০১১ সালে আইভি জানিয়েছিলেন, তাঁর কাছে কোনো নগদ টাকা নেই। ব্যাংকে জমা আছে ১০ লাখ টাকা। ওই সময় তিনি দেখিয়েছিলেন তাঁর ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবপত্র বলতে কিছু নেই।