পাহাড়ের দারিদ্র্য জাদুঘরে পাঠাব : ওবায়দুল কাদের

অক্ষরে অক্ষরে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির প্রতিটি বিষয় সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, পাহাড়ি জনপদ, এখানকার মানুষ পিছিয়ে থাকতে পারে না। পাহাড়ের দারিদ্র্য আমরা জাদুঘরে পাঠাব।
আজ মঙ্গলবার খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা ও জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। উপজেলার বাস টার্মিনাল চত্বরে ওই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পাহাড়ে উন্নয়নে একটা জোয়ার আপনারা লক্ষ্য করছেন যা কোনো দিনও ছিল না। আজকে যেদিকেই তাকান উন্নয়ন। উন্নয়নের ছোঁয়া এ পাহাড়ের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে।
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘ভূমি বিরোধ পার্বত্য চট্টগ্রামের বহুকাল আগের সমস্যা। আমরা আইন পাস করেছি। ভূমি সমস্যার সমাধান আমরা অবশ্যই করব। ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি, ভূমি সংস্কারের কর্মসূচি আইন পাস করে আমরা সমাধান করতে শুরু করেছি।’
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিদেশিরা তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে এ কথায় যারা বিশ্বাস করে তারা কি জনগণের মানুষ? এরা কেবল নালিশ করে বিদেশিদের কাছে। ৫০০ লোক নিয়ে একটা মিছিল করার ক্ষমতা নাই। যারা ভয়কে জয় করতে পারে না তাদের রাজনীতি করা শোভা পায় না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তিনি আসেননি। সেদিন যদি তিনি নেত্রীর ডাকে সাড়া দিতেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাস অন্যভাবে লেখা হতে পারত। তিনি সেদিন আসেননি। নির্বাচন করলেন না। করলেন আন্দোলন।’
সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য দীপংকর তালুকদার, খাগড়াছড়ি আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু।
পরে মন্ত্রী রামগড় সোনাইপুলে নির্মাণাধীন একটি সেতু পরিদর্শন করেন। মন্ত্রীর এ সফরকে কেন্দ্র করে রামগড়ে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এদিকে বিকেলে খাগড়াছড়ির আউটার স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত অপর এক বিশাল জনসভায় ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ জনসভায় সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য দীপংকর তালুকদার বক্তব্য দেন।