ছাত্রলীগের চার কর্মীর বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মাগুরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে আজ শনিবার তালা দিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে ছাত্রলীগের অপর পক্ষের মধ্যস্থতায় পুলিশ তালাবদ্ধ অবস্থা থেকে শিক্ষকদের মুক্ত করে। 

বদলির আদেশ পাওয়া পলিটেকনিকের রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশন বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র ছাত্রলীগের নেতা দাবিদার ওমর আলী জানান, ইনস্টিটিউটের স্কাউটিং, ক্রীড়ানুষ্ঠান, ব্যবহারিক পরীক্ষায় ল্যাবরেটরির কাঁচামাল ক্রয় বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়, সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ছাত্রদের আন্দোলন চলছিল। তাই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী হিসেবে আনিসুর রহমান, মিরাজুল ইসলাম, আনিসুল ইসলাম সবুজ ও তাঁকে চিহ্নিত করে সম্প্রতি তাঁদের বরগুনা, ঠাকুরগাঁও, নরসিংদী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বদলি করা হয়। এর প্রতিবাদে আজ শনিবার সকালে সাধারণ ছাত্ররা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং সকাল ৯টায় প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন। 

ছাত্রদের অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক দাবি করে মাগুরা পলিটেকনিকের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা উপাধ্যক্ষ মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বদলির আদেশ পাওয়া উচ্ছৃঙ্খল চার ছাত্র অকারণে নানা অজুহাত তৈরি করে প্রতিষ্ঠানে প্রায় প্রতি মাসেই আন্দোলনের নামে শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত করে আসছিল। কিছুদিন আগেও তারা প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া অনুষ্ঠানে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে শিক্ষিকাদের লাঞ্ছিত করে। ফলে তাদের নামে সদর থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রুজু করে বিষয়টি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে জানানো হয়। বোর্ড তদন্তের মাধ্যমে ওই ছাত্রদের বিভিন্ন পলিটেকনিকে বদলি করার এ নির্দেশ দেয়। এ বদলির ব্যাপারে তাঁদের কোনো হাত নেই। ছাত্রলীগের নামে কয়েকজন ছাত্র প্রতিষ্ঠানের সাড়ে আট শতাধিক ছাত্রছাত্রীর মধ্যে মাত্র ৩০-৪০ জন ছাত্রকে জোর করে আন্দোলনে থাকতে বাধ্য করছে।