বাগেরহাটের মংলা উপজেলায় সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের নন্দবালা খালে র‍্যাব ৮-এর সঙ্গে 'বন্দুযুদ্ধে' দুজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত দুজন হলেন আলমগীর হোসেন (৩৫) ও রিপন (৩০)। তাঁরা বনদস্যু মাইজ্যা বাহিনীর উপদলের সদস্য বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব ৮-এর অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট আদনান কবির জানান, সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক দিন ধরে বনদস্যুরা বনজীবীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছিল। এ ছাড়া মুক্তিপণের দাবিতে বেশ কয়েকজন বনজীবীকে অপহরণ করে বনদস্যু বাহিনী। অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে আজ ভোরে অভিযান শুরু করেন র‍্যাব সদস্যরা।এ সময় বনের নন্দবালা খাল এলাকায় বনে লুকিয়ে থাকা বনদস্যুরা র‍্যাবের সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় আধা ঘণ্টা উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে বনদস্যুরা গহিন বনে পালিয়ে যায়।

লেফটেন্যান্ট আদনান কবির আরো জানান, বনের বিভিন্ন এলাকা তল্লাশি করে দুই বনদস্যুর লাশ ও একটি শুটারগান, দুটি রাইফেল, ১০টি বন্দুক ও ১০০টি তাজা গুলি উদ্ধার করেন র‍্যাব সদস্যরা। পরে স্থানীয় জেলেরা মাইজ্যা বাহিনীর প্রধান আলমগীর হোসেন ও তাঁর সহযোগী রিপনের মরদেহ শনাক্ত করে।

এদিকে র‌্যাব ৮-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফরিদুল আলম জানান, ভোরে র‌্যাব সদস্যরা বনের নন্দবালা খাল এলাকায় নিয়মিত টহল দেওয়ার সময় বনের ভিতর দস্যুদের আনাগোনা টের পান। দস্যুদের কথাবার্তার শব্দ শুনে অভিযানকারীরা বনের মধ্যে প্রবেশ করলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া বনদস্যু মাইজ্যা বাহিনী র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালালে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড আলমগীর (৩৪) ও রিপন (৩০)।  

ফরিদুল আলম আরো বলেন, উভয়ের মধ্যে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে শুরু হওয়া বন্দুক যুদ্ধ চলে ৫টা ৪০মিনিটি পর্যন্ত। বন্দুকযুদ্ধ শেষে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ১০টি একনলা বন্দুক, ১টি শুটারগান, দুটি এয়ারগান, ৭৭টি তাজা গুলি, ৩০টি গুলির খোসা, দুটি মোবাইল ফোনসেট, তিনটি সিম কার্ড, একটি ১২ ভোল্ট ব্যাটারি, টাকা, টোকেনসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয় জেলেরা নিহত দুজনকে দেখে নাম বলতে পারলেও বাড়ির ঠিকানা জানাতে পারেনি। তাঁদের লাশ মংলা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।