নেত্রকোনায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় রাজাকার মঞ্জু গ্রেপ্তার

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার আটপাড়া থেকে এনায়েত উল্লাহ ওরফে মঞ্জু (৭০) নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের কুলশ্রী গ্রাম থেকে এই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক আহম্মেদ।
ওসি জানান, মঞ্জুকে আটপাড়া থানায় আনার পর রাত সোয়া ১০টার দিকে নেত্রকোনা মডেল থানায় হেফাজতে রাখা হয়েছে। আগামীকাল সোমবার তাঁকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সোপর্দ করা হবে। একই মামলায় আরো দুই আসামি হচ্ছেন মঞ্জুর বড় ভাই হেদায়েত উল্লাহ ওরফে মো. হেদায়েত উল্ল্যাহ ওরফে আঞ্জু বিএসসি (৮০) এবং সোহরাব ফকির ওরফে সোহরাব আলী ওরফে ছোরাপ আলী (৮৮)।
একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতার জন্য গঠিত রাজাকার বাহিনীর সদস্য মঞ্জু ছাড়া অন্য দুই আসামির মধ্যে ছোরাপ কারাগারে ও আঞ্জু পলাতক রয়েছে। তাঁদের সবার গ্রামের বাড়ি আটপাড়া উপজেলার সুখারী ইউনিয়নের কুলশ্রী গ্রামে।
২০১৫ সালের ৫ মে তদন্ত শুরুর পর গত ৮ সেপ্টেম্বর এই তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানা যায়। আসামিদের তিনজনই একাত্তরে জামায়াতের কর্মী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে আঞ্জু-মঞ্জু এখনো জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে প্রসিকিউশনের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রশিদ।
নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার মধুয়াখালী গ্রাম, মোবারকপুর গ্রাম, সুখারী গ্রাম এবং মদন উপজেলার মদন গ্রামে সংঘটিত লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, হত্যা, গণহত্যা, হিন্দু পরিবার দেশত্যাগে বাধ্য করাসহ ছয়টি অভিযোগ রয়েছে আঞ্জু-মঞ্জু-ছোরাপের বিরুদ্ধে।
প্রাথমিকভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে এই ছয় অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই দিনই সোহরাব ফকির গ্রেপ্তার হন। আজ গ্রেপ্তার করা হয় এনায়েত উল্লাহ মঞ্জুকে।