পাবনায় গুলি করে, কুপিয়ে দুজনকে হত্যা

পাবনায় দুজনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় আটঘরিয়া উপজেলায় ও গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে ফরিদপুর উপজেলায় এসব হত্যাকাণ্ড ঘটে।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ফারুক হোসেন জানান, সকাল ১০টার দিকে মিঠু (৩০) চাচকিয়া পূর্বপাড়ায় সমিতির ঋণের কিস্তি দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা ছয়-সাতজনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। ওসি দাবি করেন, নিষিদ্ধ-ঘোষিত একটি চরমপন্থী সংগঠনের নেতা ছিলেন মিঠু।
পুলিশের অপর এক কর্মকর্তা এবং স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরেই মিঠুকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এদিকে পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় চাঁদা না পেয়ে মাছ ব্যবসায়ী ইসলাম প্রামাণিককে (৬০) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তাঁর বাড়ি রাউত দক্ষিণ নাগদহপাড়া গ্রামে।
ফরিদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গতকাল রাত ১১টার দিকে ইসলাম প্রামাণিক বাঁধের ওপর একটি দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় পেছন থেকে মিলন হোসেন নামের এক সন্ত্রাসী ইসলাম তাঁকে উপর্যুপরি কোপায়। এ সময় পালানোর চেষ্টা করলে এলাকাবাসী মিলনকে আটক করে। গুরুতর আহত ইসলাম প্রামাণিককে স্থানীয়রা ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইসলাম প্রামাণিকের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন মিলন। ঘটনার দিন চাঁদা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করছে তারা।
এ দুটি হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জানতে চাইলে পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এতে প্রমাণিত হয় না যে জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।’ এসব ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
দুজনের লাশ উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।