ফুটবলার তাসলিমার বাবাকে মারধর, শিক্ষক বহিষ্কার

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) অনূর্ধ্ব-১৬ বাছাইপর্বের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য কলসিন্দুরের তাসলিমার বাবাকে মারধরের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে স্থানীয় স্কুলশিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাসলিমা ওই স্কুলের শিক্ষার্থী।
কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. জালাল উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ওই সভায় ফুটবলার তাসলিমার বাবা সবুজ মিয়াকে (৪০) মারধর করার অভিযোগে শিক্ষক জুবেদ তালুকদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অধ্যক্ষ মো. জালাল উদ্দিন জানান। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রতন মিয়াকে। সদস্য হিসেবে আছেন প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক নাজমুল হক এবং অভিভাবক সদস্য মো. জুয়েল মিয়া। কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
গতকাল বুধবার তাসলিমার বাবা সবুজ মিয়াকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চার শিক্ষক জুবেদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে। ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর বাজারের মহিলা মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে।
এর পর তাসলিমার বাবা সবুজ মিয়া সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন, গতকাল বুধবার বিকেলে কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শরীরচর্চার শিক্ষক জুবেদ তালুকদার অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের নয় খেলোয়াড় ও তাঁদের অভিভাবকদের নিয়ে সভা করেন। সভায় জুবেদ তালুকদার ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠেয় সংবর্ধনায় যেতে মানা করেন খেলোয়াড়দের। তিনি তাঁদের স্কুল টিমের হয়ে খেলতে বলেন। এতে উপস্থিত অভিভাবক ও খেলোয়াড়রা অপারগতা জানালে জুবেদ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। পরে রাত ৯টায় কলসিন্দুর বাজার মহিলা মার্কেটে জুবেদ তালুকদার ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে (সবুজ) কিল-ঘুষি মারেন এবং লাঠিপেটা করেন। ওই সময় তাঁকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়।