দেশে বলার মতো লোডশেডিং নেই, দাবি প্রতিমন্ত্রীর

বর্তমানে দেশে বলার মতো কোনো লোডশেডিং নেই, যা হচ্ছে তা যান্ত্রিক ক্রটির কারণে বলে দাবি করেছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি আরো জানান, পাইপলাইনের মাধ্যমে আবাসিক খাতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না। শিল্প খাতেও দেওয়া হবে পরিকল্পিতভাবে। গ্যাসের দাম সহনীয় রাখতে ভর্তুকি দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা আছে সিলিন্ডার গ্যাসের ক্ষেত্রে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
urgentPhoto
অনুষ্ঠানে লোডশেডিং প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যেটা সমস্য হচ্ছে, সেটা হচ্ছে আমাদের পুরনো ট্রান্সফরমার ও পুরনো লাইনগুলোকে বদলাতে গিয়েই কিন্তু আমাদের বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হচ্ছে, মাঝে মাঝে বেশ কিছু জায়গায় ট্রিপ করে যাচ্ছে। সেটার সাথে পাল্লা দিয়ে স্বাভাবিকভাবে আমাদের কাজ চালাতে হচ্ছে। এর জন্য সময় লাগবে। আমার মনে হয়, আগামী আরো তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে একটা ভালো স্থিতি অবস্থায় আসতে।’
সরকারের ‘এলপিজি অ্যাকশন প্ল্যানের’ কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘পরিকল্পিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোন ব্যতীত আমরা পাইপলাইনে গ্যাসের কানেকশন দিচ্ছি না। আগামী তিন বছরের মাথায় সারা দেশে ৭০ শতাংশ আবাসিক খাতে আমরা এলপিজির ব্যবহার বাড়াব। সেই পরিকল্পনাকে সামনে রেখে আমরা এলপিজি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করেছি।’
কয়েক বছর ধরেই বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে তিন থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি আর ঋণ হিসেবে দেয় সরকার, যা থাকছে আসছে বাজেটেও। আসন্ন বাজেটেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বড় অঙ্কের ভর্তুকি থাকছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, ‘আমাদের অর্থমন্ত্রী বলেছেন, উনি আমাদের প্রতি আরো বেশি সহানুভূতি পেশ করেছেন, যে উনি আমাদের ভর্তুকিটা চালু রাখবেন।
আমাদের লাইফ-লাইনের কথা চিন্তা করে। আমাদের বিদ্যুতের লোয়ার লেভেল, তাদের কথা চিন্তা করে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে।’
তবে কয়েক মাস ধরে জ্বালানি তেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে পড়তির দিকে থাকলেও দেশে দাম কমানো হয়নি। এ থেকে বাড়তি যে অর্থ মিলেছে তা দিয়ে এতদিন ধরে দিয়ে আসা ভর্তুকির সমন্বয় করা হচ্ছে বলে জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। কয়লানীতি সম্পন্ন করার জন্যও মন্ত্রণালয় বেশ কয়েকবার বসেছে বলেও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সৌরবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানির ১০০ মেগাওয়াটেরও বেশি ক্ষমতার বড় প্রকল্পও আসছে এ বছরের মধ্যেই। এ ছাড়া আরো ১৩টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কাজ শুরু হবে আগামী বছর। পরিকল্পনার পরিবর্তন হয়েছে গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতেও।
তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্প নিয়ে কাজ চললেও তার সুফল মিলবে না সরকারের চলতি মেয়াদে। সরকারের চিন্তা-ভাবনা আছে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৮০ ভাগ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার।