বরপক্ষের ওপর কনেপক্ষের হামলা, বরসহ আহত ৩০

ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বরপক্ষের ওপর হামলা চালিয়েছে কনেপক্ষ। এতে বরসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বর ও বরযাত্রীদের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরপাড়া এলাকায়। আর কনের বাড়ি একই উপজেলার সুতিয়াখালীর ঢুপিকোরা গ্রামে।
আহত ব্যক্তিদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চুরখাই কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের একজন এখনো ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় গতকাল দিবাগত রাত ২টার দিকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় কনের বাবাসহ অজ্ঞাত ২০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগটি করেছেন বরের বড় ভাই মেহেদী হাসান মানিক।
বরপক্ষের ভাষ্য
বরপক্ষের অভিযোগ, কনেপক্ষের লোকজন তাদের পাঁচটি মুঠোফোন, আটটি মানি ব্যাগ, হাতঘড়ি ও সানগ্লাস ছিনতাই করেছে। এ ছাড়া বরযাত্রী বহনকারী একটি মাইক্রোবাস, ‘আলম এশিয়া’ নামের একটি বাস ভাঙচুর করেছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও বরের ভাতিজা সাব্বির হাসান (১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) জানান, শুক্রবার শহরের চরপাড়া এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে আল ইমরানের (জেলা যুবলীগ সদস্য) সঙ্গে একই উপজেলার সুতিয়াখালীর ঢুপিকোরা গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে সেতুর বিয়ের দিন ছিল। জুমার নামাজের পর বর তাঁর ১০০ জন স্বজন নিয়ে কনের বাড়িতে যান। বরপক্ষ গয়না, কাপড় ও প্রসাধনীসহ এক লাখ টাকার মালামাল হস্তান্তর করেন কনেপক্ষের কাছে।
রাত ৯টার দিকে হঠাৎ প্রায় ৩০ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে বরযাত্রীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বরসহ তাঁর স্বজনদের ব্যাপক মারধর করা হয়।
সাব্বিরের অভিযোগ, কনেপক্ষের সবাই বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সমর্থক। আর বরপক্ষের লোকজন আওয়ামী লীগের সমর্থক।
কনেপক্ষের বক্তব্য
কনের বাবা জামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিয়ের দিন নির্ধারিত থাকায় বরপক্ষ আসে। তবে এরই মধ্যে জানতে পারি, বর নেশাখোর, খারাপ ছেলে। তাই তার সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে অস্বীকার করি।’
‘কিন্তু তারা জোর করে মেয়ে তুলে নিয়ে যেতে চায়। বিষয়টি নিয়ে আমি আত্মীয়দের সাথে কথা বলার মাঝেই এ ঘটনা (মারামারি) ঘটে যায়। সে ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।’
জানতে চাইলে আজ সকালে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) কল্পনা জানান, এ বিষয়ে তিনি অবগত নন।
পরে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, গতকাল গভীর রাতে বরপক্ষের অভিযোগ পাওয়া গেছে।