ময়মনসিংহে শিক্ষার্থী খুনের ঘটনায় আটক ১

ময়মনসিংহে শিক্ষার্থী সামিউল আলম জনম হত্যার ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শনিবার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ছাত্র হত্যার ঘটনায় অনিক নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের খুব শিগগির আটক করা হবে। এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা করবে পুলিশ।
এর আগে বিকেলে এসপি শিক্ষার্থী জনমের বাসায় যান এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও সান্ত্বনা দেন। এ সময় এসপির সঙ্গে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিকেলে শহরের চরপাড়া লাশকাটা ঘরের সামনে জনম হত্যার প্রতিবাদ, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার সহপাঠী ও এলাকাবাসী।
জনমের মামা হাবিবুর রহমান জানান, জনম এবার বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান একাডেমি অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পাস করেছে। সে ‘টাঙ্গাইলে মেডিকেল ম্যাটস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, শুক্রবার রাতে সোয়া ৮টার সময় জনম নিজ বাড়ির কাছেই রাস্তায় বসা ছিল। এ সময় মোটরসাইকেলের আলো তার শরীরে পড়ায় সে প্রতিবাদ করে। এতেই ক্ষুব্ধ হন রাকিব, তার ভাই আকিব, তাদের মা-বোন ও বোনজামাই।
একপর্যায়ে আকিবের বোনজামাই ধারালো অস্ত্র দিয়ে জনমের মাথায় কোপ দেন এবং আকিব ও সাকিব পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে দেন শরীরে। গুরুতর অবস্থায় জনমকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যায় জনম।
এসপি আরো জানান, ঘটনার পর থেকেই রাকিব-আকিবের পরিবার পলাতক। পুলিশ তাদের বাড়িটি সিলগালা করে দিয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা মুদি দোকানি লিটন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।