তাঁর কাজই অবৈধ সার কারখানা বানানো!

লাইসেন্স না করে অবৈধভাবে জিংক সালফেট উৎপাদন করায় যশোর উপশহর এলাকার কসমিক অ্যাগ্রো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি সার কারখানা সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে সার কারখানার মালিককে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কারখানাটির মালিক যশোর শহরের ঘোপ এলাকার আহসান নেওয়াজ। এর আগেও একবার তিনি অবৈধভাবে সার কারখানা খুলে বসেছিলেন। সেটির নাম ছিল সাউদার্ন অ্যাগ্রো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ। ভ্রাম্যমাণ আদালত বিষয়টি টের পেয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে তখন সেটি বন্ধ করে দেন এবং জরিমানা আদায় করেন।
এরপর একই জায়গায় সাউদার্ন অ্যাগ্রো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সাইনবোর্ড খুলে আহসান নেওয়াজ কসমিক অ্যাগ্রো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেন এবং যথারীতি অবৈধভাবে সার উৎপাদন শুরু করেন।
এসব তথ্য জানিয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সদর উপজেলা কর্মকর্তা এস এম খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, আজ দুপুরে নির্বাহী হাকিম সীতেশ চন্দ্র সরকার ও আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে উপশহর ই-ব্লকে কসমিক অ্যাগ্রো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে র্যাব ও পুলিশের একটি টিম অংশ নেয়।
কারখানায় গিয়ে সার উৎপাদনের লাইসেন্স দেখতে চাইলে কারখানা কর্তৃপক্ষ তা দেখাতে পারেনি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকরা এ সময় কারখানাটি সিলগালা করে দেন। একই সঙ্গে কারখানার মালিক আহসান নেওয়াজকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং তা আদায় করা হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আরো জানান, ‘যশোরে এমন ২৩টি কারখানা আছে। এর মধ্যে ১৯টি আমরা সিলগালা করেছি। বাকি চারটি উচ্চ আদালতের নির্দেশে খোলা রয়েছে।’