খালেদা জিয়া প্রচারে অংশ নিতেই পারেন : তোফায়েল

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মন্ত্রী কিংবা সংসদ সদস্য নন। তিনি সরকারের কোনো সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন না। তাই তিনি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতেই পারেন।
আজ রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াংয়ের সঙ্গে ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক বাণিজ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন কিংবা এতে বিএনপি বাড়তি সুবিধা পাবে কি না। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া মন্ত্রী নন, এমপিও নন। তিনি সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন না। দলের চেয়ারপারসন হিসেবে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। যদিও এ নির্বাচনটি অরাজনৈতিক, তবুও বিএনপি একজনকে সমর্থন দিয়েছে। আমরাও একজনকে সমর্থন দিয়েছি। সে হিসেবে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতেই পারেন।’
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মতো আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন। তবে তিনি এ-ও উল্লেখ করেন, যেসব নেতা সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন না, তারাই নির্বাচনের প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন। তিনি বলেন, ‘যেমন-আমাদের সজীব ওয়াজেদ জয় রয়েছেন। তিনি সরকারি বেতন-ভাতা নিচ্ছেন না। ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে তিনি প্রচারণায় অংশ নিতে পারেন।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ৯২ দিন পর খালেদা জিয়া দলীয় কার্যালয় ছেড়ে নির্বিঘ্নে আদালতে গিয়েছেন। আবার বাসভবনে গিয়েছেন। এখন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু তিনি যে ৯২ দিন কার্যালয়ে বসে যে কর্মসূচি পালন করেছেন, তার হাহাকার বার্ন ইউনিটেও এখনো শোনা যায়। অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে। অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। অনেকে সর্বস্ব হারিয়েছেন। বার্ন ইউনিটের হাহাকার এখনো থামেনি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যতই মাঠে নামুন না কেন, ঢাকাবাসী ব্যালটের মাধ্যমে তার জবাব দেবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় প্রমাণিত হয়, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে না যাওয়া তার ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। সেটা বুঝতে পেরেই তিনি এখন মাঠে নেমে পড়েছেন। তিনি যদি ওই নির্বাচনে অংশ নিতেন, তাহলে হয়তো দৃশ্য এ রকম হতো না।
এর আগে গত শুক্রবার বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, পুলিশ প্রটোকল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ভোট চেয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া নয়াপল্টনের কার্যালয়ে গিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। শুনেছি, আজকে তিনি গুলশান কার্যালয় থেকে প্রেস কনফারেন্স করে ভোট চাইবেন। এটা নির্বাচনের পরিপন্থী, আচরণবিধির পরিপন্থী। এটা তিনি পারেন না। কারণ, তাঁর সঙ্গেও সরকারের পুলিশ ছিল সেদিন পর্যন্ত।’