বিজিবি কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার না : ডিজি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়নি, হচ্ছে না এবং হবেও না বলে মন্তব্য করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। কেউ যদি সে রকমটা মনে করেন, তাহলে তা অবিচার করা হবে বলেও জানান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান।
কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন বিজিবিপ্রধান। আলোচনায় কুড়িগ্রাম সীমান্তে আলোচিত কিশোরী ফেলানী হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গও আসে।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘বিজিবি কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয় নাই, হচ্ছে না এবং হবেও না। কারণ আপনি যদি আমার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করাটাকে বলেন রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছি, তাহলে সেটা আমাদের ওপর অবিচার করা হবে। আজকে দেশের সাধারণ জনগণ নিরাপদ ও স্বস্তির নিশ্বাস নিচ্ছে, সেখানে আমাদের কন্ট্রিবিউশন নাই? এটা কি রাজনৈতিক হাতিয়ার? আমি যে বক্তব্যটা দিয়েছিলাম, যারা পেট্রলবোমা মারে তারা হলো সন্ত্রাসী। আমার বক্তব্যটাকে কেউ যদি রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবে ধরে নেয় বা কিছু করে, তাহলে সেটা হবে আমার জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এটা কি রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল? আপনারা আমাদের কর্মকাণ্ডকে যদি রাজনীতির সাথে সংমিশ্রণ না করেন তাহলে খুশি হব। আমাদেরকে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয় নাই।’
আলোচিত ফেলানী হত্যার বিচার যেহেতু ভারতের আদালতে চলমান আছে, এ কারণে এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান। তবে তিনি বলেন, ফেলানী হত্যাকাণ্ড যে ঘৃণিত কাজ তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে সাড়া ফেলেছে। এমনকি ভারতেও এ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সরকার যতদিন চাইবে বিজিবি ততদিন মাঠে থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহফুজার রহমান, রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জুলফিকার আলী, কুড়িগ্রাম-৪৫ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকির হোসেন, জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ ও পুলিশ সুপার ডা. মো. তবারক উল্লাহ প্রমুখ।