ময়মনসিংহে ছাত্র নিখোঁজ, ডিবির বিরুদ্ধে বাবার অভিযোগ

ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর এলাকায় খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না আশফাক হোসেন মুবিদের। গৌরীপুর থেকে এ নিয়ে নিখোঁজ হলেন দুজন। জেলায় নিখোঁজ তালিকায় যুক্ত হলেন নয়জন।
মুবিদের বাবা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুসের অভিযোগ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিনসহ আরো কয়েকজন মুবিদকে তুলে নিয়ে যান। মুবিদ ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজির চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গৌরীপুর মধ্যবাজারে তাঁদের বাড়ি।
আবদুল কুদ্দুস জানান, ঈদের পর মুবিদের দুটি বিষয়ে পরীক্ষা ছিল। এর আগেই মুবিদকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।
এদিকে ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম জানান, মুবিদের বাবা আবদুল কুদ্দুস তাঁর কাছে এসেছিলেন। তিনি তাঁকে (আবদুল কুদ্দুস) সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে আসতে বলেছেন, কিন্তু আজও তিনি আসেননি। এসআই মফিজুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমার ধারণা, মফিজুল ইসলাম নাম-পরিচয়ে অন্য কেউ এই কাজ করে থাকতে পারে।’
মুবিদের বাবা আবদুল কুদ্দুস জানান, গত ১৯ জুন আশফাক হোসেন মুবিদ বাড়ির পাশেই বড় মসজিদে জোহরের নামাজ আদায় করেন। মসজিদ থেকে বের হতেই জেলা ডিবি পুলিশ কার্যালয়ের কর্মকর্তা মফিজসহ তিন-চারজন মুবিদকে তুলে নিয়ে যান। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কুদ্দুস খান মুবিদের বাবা কুদ্দুসকে জানান যে মুবিদকে ডিবি পরিচয়ধারীরা নিয়ে যায়।
আবদুল কুদ্দুস জানান, ওই দিনই তিন-চারজন মানুষ নিয়ে তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসআই মফিজ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করেন। মুবিদ সাইবার অপরাধী ও তাঁর ফেসবুকে সমস্যা আছে বলে দাবি করেন এসআই মফিজ উদ্দিন। কুদ্দুস বলেন, ‘আমাকে পরে যোগাযোগ করতে বলা হয়। পরে আরো দুদিন ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে ওই ডিবি কর্মকর্তা জানান দেখা করা সম্ভব নয়, মুবিদকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি আর কোনো তথ্য দেননি তিনি।
আবদুল কুদ্দুস জানান, গত ২৩ জুন গৌরীপুর থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ জিডি নেয়নি। পরে থানার এসআই সাইদুল অবগতির জন্য তাঁর স্বাক্ষরযুক্ত সিলবিহীন একটি কাগজ দেন। জেলা কারাগার, পুলিশ সুপার, ডিবি কার্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যালয়ে খোঁজ নিয়েও ছেলের কোনো তথ্য পাননি কুদ্দুস।
কুদ্দুস বলেন, ‘আমি জানি না আমার ছেলেকে কী অপরাধে ধরে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আমার ছেলে কোথায় আছে, কেমন আছে।’ ছেলের খোঁজ পাওয়ার জন্য আইনি সহায়তা চান তিনি।