নর্থ সাউথের উপ-উপাচার্যসহ চারজন ৮ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর গুলশানে হামলাকারীদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া ও তথ্য গোপন রাখার অভিযোগে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য গিয়াসউদ্দিন আহসানসহ চারজনকে আট দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বাকি তিনজন হলেন উপ-উপাচার্য গিয়াসউদ্দিন আহসানের ভাগ্নে আলম চৌধুরী ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গিয়াসউদ্দিনের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মো. মাহবুবুর রহমান তুহিন এবং শেওড়াপাড়া এলাকার বাড়িওয়ালা নুরুল ইসলাম।
আজ রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে গ্রেপ্তার চারজনকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম তসরুজ্জামান এ আদেশ দেন।
পুলিশ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ওই বাসা থেকে বালুভর্তি কার্টন ও হামলাকারীদের পরিধেয় বস্ত্রসহ বিভিন্ন মালামাল জব্দ করে। বালুভর্তি এসব কার্টনে হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেড রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ। গোয়েন্দাদের ধারণা, গুলশানের রেস্তোরাঁয় হামলাকারীরা ওই ফ্ল্যাটেই অবস্থান করেছিল।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে ওই তিনজনকে আটক করা হয়। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ৬ নম্বর রোড, ব্লক-ই, টেনামেন্ট-৩, ফ্ল্যাট এ/৬-এ জড়িত জঙ্গিরা একত্রিত হয়েছিল।
জঙ্গিদের অন্য সহযোগীরা এই ফ্ল্যাট গত ১৬ মে ভাড়া নিয়েছিল। গুলশানে সন্ত্রাসীর হামলার পর সহযোগীরা দ্রুত বাসা থেকে পালিয়ে যায়। ওই বাড়ির মালিক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন আহসান। তিনি বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
গুলশানে হামলায় জড়িত জঙ্গিদের আরেকটি আস্তানার সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
আজ ঢাকার পশ্চিম শেওড়াপাড়ার ওই বাসার মালিক নুরুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। বাসাটি থেকে হাতে তৈরি একটি গ্রেনেড, কালো পোশাক এবং সন্ত্রাসী কর্মকণ্ডে ব্যবহৃত কিছু মালামাল জব্দ করেছে পুলিশ। হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার আগে সন্ত্রাসীরা ওই বাসায় অবস্থান করেছিল বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।