বিএনপির জাতীয় ঐক্যের আহ্বান তামাশা : বাণিজ্যমন্ত্রী

বিএনপির জাতীয় ঐক্যের আহ্বানকে জাতির সঙ্গে তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০-দলীয় জোটের সঙ্গে বৈঠক করে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। সেখানে একটি রাজনৈতিক দল ছিল, যেটি আদালতের রায়ে সন্ত্রাসী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের দল হিসেবে স্বীকৃত ও চিহ্নিত। ওই দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যের আহ্বান জাতির সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছুই না।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণী সভায় সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্যের অগ্রগতি-উন্নতির পাশাপাশি দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে এসব কথা বলেন তোফায়েল আহমেদ।
রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ দুটি হামলাসহ অন্যান্য যেসব জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, সেগুলো বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য হয়েছে। বিএনপির নেত্রীও বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে তাঁর বক্তৃতায় বারবার উল্লেখ করেছেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা বাঙালিরা বীরের জাতি। সহজে বাঙালিরা মাথা নত করতে জানে না। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে পরাজিত করেই আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াব।’ তিনি একাত্তরের মতো ঘরে ঘরে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে গত বছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘গত অর্থবছরে আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তা পূরণ করেও তার চেয়ে সাতশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি আয় করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের সামগ্রিক রপ্তানি বেড়েছে ১২৪.৮২ শতাংশ। তবে রপ্তানীকৃত তৈরি পোশাকের দাম সেভাবে বাড়েনি।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রানা প্লাজা ধসের পর ক্রেতারা তৈরি পোশাকের দাম বাড়ায়নি। তারা যেভাবে ভিয়েতনাম ও চীনের পোশাকের দাম বাড়িয়েছে, সেভাবে আমাদের পোশাকের দাম বাড়ায়নি।’
চলতি অর্থবছরে রপ্তানি ৩৭ হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের জিএসপি সুবিধা দিচ্ছে না। এ বছর সেটা নবায়ন করা হয়নি। তাতে আমাদের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েনি।’
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতউল্লাহ আল মামুন, পোশাক রপ্তানিকারকদের প্রতিষ্ঠান বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য সচিব হেদায়েতউল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি বছর কোরবানি ঈদের পর সাভারের শিল্পনগরীতে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ হবে। এবার আর হাজারীবাগে এ কাজ করতে দেওয়া হবে না।