সাহায্য চেয়ে চাচাকে ফোন করেছিলেন তারিশি

‘তারিশি আমাকে ফোন করেছিল। আমার সাহায্য চায় বারবার। বেশ আতঙ্কিত ছিল তা গলা শুনেই বুঝতে পারি। কিন্তু এরপরও আমি পারিনি তারিশিকে বাঁচাতে।’
তারিশি জৈনের চাচা রমেশ মোহন জৈন এনডিটিভিকে এসব কথা বলছিলেন। গত শুক্রবার ঢাকার গুলশানে স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন তারিশি জৈন। পরের দিন তারিশিসহ ১৭ জন বিদেশি নাগরিকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
হামলাকারীরা যখন রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করে তখন টয়লেটে আশ্রয় নেন ১৯ বছর বয়সী তারিশি। রমেশ মোহন জানান, টয়লেট থেকেই রমেশকে ফোন করেন তারিশি।
রমেশ মোহন বলেন, ‘তারিশি আমাকে ফোন করে সাহায্য চাচ্ছিল। কিন্তু আমি তাকে বাঁচাতে পারিনি।’
ছুটি কাটাতে বাবা সঞ্জীব জৈনের কাছে ঢাকায় আসেন তারিশি। সঞ্জীব ঢাকায় তৈরি পোশাকের ব্যবসা করেন। কলেজের পড়াশোনা শেষ করে ইউসি (ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া) বার্কেলেতে ভর্তি হয়েছিলেন তারিশি।