লক্ষ্মীপুরে অপহরণের নয়দিন পর শিশু উদ্ধার, আটক ১

লক্ষ্মীপুর থেকে অপহরণের নয়দিন পর আড়াই মাস বয়সী শিশু ফারজানা ইয়াসমিন মরিয়মকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার দক্ষিণ প্রতাপপুর গ্রামের হনুফা বেগমের বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া শিশু মরিয়ম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধব্যপুর গ্রামের ইব্রাহীম খলিলের মেয়ে। তাকে তার মা-বাবার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া নারী মাহিনুর বেগম রুমি (২৭) কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ গ্রামের মো. নোমানের স্ত্রী।
শিশুটির কয়েকজন স্বজন অভিযোগ করেন, জন্মের তিনদিন পর অসুস্থ হলে মরিয়মকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার মা রহিমা বেগমের সঙ্গে মাহিনুর বেগম রুমির পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের দুজনের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একে অপরকে বোন বলে ডাকে। এভাবে রুমি রহিমা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে আরো অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত ১৯ জুন রহিমার বাড়িতে বেড়াতে আসেন রুমি। পরদিন রহিমার মেজো মেয়ে পলি আক্তার (৮) ও আড়াই মাসের শিশু মরিয়মকে জামাকাপড় কিনে দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় মান্দারী বাজার নিয়ে যান। পরে ওই বাজারের একটি কাপড় দোকানে পলিকে বসিয়ে রেখে শিশু মরিয়মকে নিয়ে পালিয়ে যান রুমি।
এ ঘটনায় মরিয়মের বাবা ইব্রাহীম খলিল চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। পরে মুঠোফোনের মাধ্যমে রুমির অবস্থান শনাক্ত করে পুলিশ।
চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পুষ্পবরণ চাকমা ও সঙ্গীয় ফোর্স কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার দক্ষিণ প্রতাপপুর গ্রামে হনুফার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে শিশু মরিয়মকে উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত রুমিকে গ্রেপ্তার করে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, ‘নাটকীয় এই ঘটনার মূল হোতা মাহিনুর বেগম রুমীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা শিশুটিকে তার মা-বাবার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’